
মোঃ শামীম হোসেন:
টাকার জন্য মানুষ কতো কিছুই না করে। টাকার জন্য ছেলে বাবার লাশ কবরস্থ্য করতে বাধা দেয়। টাকার জন্য ভাই ভাইয়ে হয় খুনো খুনী । টাকা ও সম্পদের জন্য সম্পর্ক ছিন্ন হয় আত্বীয়—স্বজনদের মধ্যে। বলতে গেলে টাকাই সব আবার টাকাই মরন ফাঁদ। অবৈধ ও অন্যায়ভাবে টাকা আয় করতে দিয়ে অনেকেই খাটছেন জেল।
ফায়ার এন্ড সিভিল ডিফেন্স দেশের অন্যতম একটি সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান , আর এই প্রতিষ্ঠানের কিছু কর্মচারী, কর্মকর্তা অন্যায়ভাবে টাকা কামাতে গিয়ে ন্যায় নিতির তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে কামাচ্ছে কারী কারী টাকা। এরকমই একজন ফায়ার ইন্সপেক্টর তানভীর। ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বিভিন্ন এলাকায় খোজ নিয়ে দেখা গেল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পানির কোন নূন্যতম ব্যবস্থা নেই, ওয়ারিং ব্যবস্থা মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ আরও নানাবিধ সমস্যা তারপরও ইন্সপেক্টর তানভীর লাইন্সেস দিতেছে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক ঢাকা আনোয়ারুল হককে ম্যানেজ করে। নিম্নে কিছু প্রতিষ্ঠানের নাম তুলে ধরা হল। রোবট ব্যাটারী দঃ কেরানীগঞ্জ, একে এস ম্যাট,রমজান প্লাস্টিক, সরকার প্রিন্টিং,স্টাইল ফ্যক্টরি,জে এস ক্যাফট সহ আরও শতাধিক প্রতিষ্ঠান আছে দঃ কেরানীগঞ্জ যাদের কোন সেফটি ব্যবস্থা নাই বললেই চলে কিন্তু কিভাবে লাইন্সেস পেল? গোপন সুত্রেজানা যায়, লাইন্সেস দেওয়ার সময় ৩০০টাকার স্ট্যাপে সই নিয়ে দিয়ে দেন আবার জুন মাসে ৩০০টাকার স্ট্যাম্পে সই নিয়ে লাইন্সেস নবায়ন করে দিয়ে দেন,মাঝে টাকার খেলা, যার মূলহোতা ইন্সপেক্টর তানভীর ।
এ বিষয়ে কল কারখানার মালিকদের কাছে জানতে চাওয়া হয় । তারা কিভাবে লাইসেনস পেলেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ফায়ার সার্ভিসের যে কোনো কাজ টাকা দিলেই সম্ভব। এর চেয়ে বেশী কিছু জানতে চাইলে ইন্সপেক্টর তানভীর এর সাথে যোগাযোগ করুন। সূত্রে আরো জনগেছে ইন্সপেক্টর তানভীর এর বোন জামাই সাবেক এডি আকরামের হাত ধরে ফায়ার সার্ভিসে উত্থান হয়। ডেমরা থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন অনিয়মের কারনে তাকে নারায়নগঞ্জে বদলি করা হয়, সেখানেও অনিয়ম করে ভাল পোস্টিং পায় দঃ কেরানিগঞ্জ , অবৈধভাবে টাকা কামিয়ে মাতুয়াইল ও সাইনবোর্ড এলাকায় ০২ ফ্লাট কিনেছেন এবং নামে বেনামে ঢাকা জেলার বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে জমি। এ বিষয়ে তিনি তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি কোনো কল কারখানায় পরিদর্শনে যাই না । যেহেতু যাই না তাই অবৈধ টাকা ইনকাম করার সুযোগ নাই। কলকারখানায় না গিয়ে কিভাবে লাইসেন্স প্রদান করেন জানতে চাইলে কথা ঘুড়িয়ে দেন। এ বিষয় সহকারী পরিচালক ঢাকা মোঃ আনোয়ারুল হক বলেন, কোথাও কোনো কারখানায় এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনী। আপনারা দু একটি কারখানার নাম বলেন আমি ব্যবস্থ্যা নেব। ইন্সপেক্টর তানভীরের অপকর্ম নিয়ে বিস্তারীত আসছে…।