
স্টাফ রিপোর্টার:
পরিবহন শ্রমিকরা জানান, গাড়িপ্রতি ৪০০ করে টাকা দিতে হয়। নেতারা আমাদের কাছ থেকে টাকা নেন। প্রতিমাসে ১ হাজার টাকা করে কার্ডের বিল দিতে হয়।
নাম প্রকাশ ও ক্যামেরায় চেহারা দেখাতে রাজি না হয়ে একজন জানান, কাউন্সিলর আফসার খানসহ আরও বেশকিছু লোক আছেন, তাদের তত্ত্বাবধানে হয় চাঁদাবাজি।
বাদ নেই ময়লা বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রণ, ডিস লাইন ও ইন্টারনেট লাইনের নিয়ন্ত্রণও। অভিযোগ আছে এসব নিয়ন্ত্রণে কাজ করে খসরু চৌধুরীর পিএস মোস্তাফিজুর রহমান, সহকারি মোহাম্মদ তৌফিক এবং খসরু চৌধুরীর হাসপাতালে কর্মরত ফয়সাল।
এমপির পিএস মোস্তাফিজুর রহমানও চাঁদাবাজির সাথে জড়িত।নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরীর আন্ডারেই তো অনেক চাঁদাবাজ বসবাস করেন। যেমন ৪৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোতালেব মিয়া। তিনি তো কুখ্যাত চাঁদাবাজ। কাঁচাবাজার ও মাছবাজার দখল করে খাচ্ছে। তার ছেলে হেলাল, তার ডিসের ব্যবসা আছে। এগুলো লুটপাট করে খাচ্ছে। চাঁদাবাজি তো তারাই করেন। তৌফিক মুস্তাফিজ তারাও এটার সাথে জড়িত।
ভুক্তভোগীরা জানান, খসরু চৌধুরী আসার পর থেকে চাঁদা দেয়া হচ্ছে। আগে দেয়া হয়েছে ৩ হাজার টাকা করে, সামনের মাস থেকে ৪ হাজার টাকা করে দিতে হবে।
উত্তরা ১২নং সেক্টর সিটি করপোরেশনের অফিসের ঠিক উল্টো পাশেই চওড়া রাস্তার তিনভাগের দুইভাগ দখল করে চলছে ভ্রাম্যমাণ দোকান। এটির নিয়ন্ত্রণ আবার কেসি ফাউন্ডেশন অর্থাৎ খোকা চৌধুরী ফাউন্ডেশনের মিলনের হাতে। এখানে টাকা তোলার কাজে নিয়োজিত লাইনম্যানের সহকারী পরিচয় পাওয়া এক যুবকের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে দৌঁড়ে পালান তিনি।
নির্বাচনের মাত্র তিন মাসের মাথায়ই মোটামুটি বেশিরভাগ দখলদারিত্ব ও নিয়ন্ত্রণ বাণিজ্যে নাম আসছে নবনিযুক্ত এমপির ঘনিষ্ঠজনদের।

এ নিয়ে কথা হয় ঢাকা- ১৮ আসনের সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরীর সঙ্গে। ঢাকা- ১৮ আসনের সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরী জানালেন চাঁদাবাজি না ছাড়লে, নেয়া হবে ব্যবস্থা।