
টঙ্গী গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুর মহানগর টঙ্গী পূর্ব থানাধীন রেল স্টেশনে হোটেলের ভিতরে পাওয়া যায় সুন্দর সুন্দর রমণী অন্য দিকে বাহিরে সাইনবোর্ড দেখলে বুঝতেই পারবেন না এই হাবিব হোটেল কি হয় হোটেলের বাহিরে সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে ফ্রেশ হোটেল খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় যে এই হোটেল ম্যানেজার মোঃ শামীম হোসেন মাটির কোনো ভাবেই থেমে নেই দেহ ব্যবসা ও মাদক ব্যবসা এই আবাসিক হোটেল দীর্ঘদিন যাবত মাদক ও নারী দিয়ে দেহ ব্যবসায়ী শীর্ষে রয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।অনেক সময় দেখা য়ায় পুলিশ এসে হোটেলটি বন্ধ করলেও ২/১ দিন যেতে না যেতেই পুলিশকে ম্যানেজ করে আবারও চালু করেন বলেন অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে এ বিষয়ে এই হোটেল ম্যানেজারের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি তার কোন সদ উত্তর কিন্তু অপরদিকে ছদ্মবেশে ধারণ করে এই হোটেলের কিছু কর্মচারী সাথে কথা হলে , তারা জানান এই হোটেল ম্যানেজারের কিছুই হবে না কারণ সে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চালায় ব্যবসা । অনুসন্ধান করে দেখা যায় এখানে রয়েছে কয়েক ধরনের রমরমা ব্যবসা যদি কেউ এখানে মাদক সেবন করতে চান তাদের জন্যও রয়েছে আলাদা আলাদা অফার, যেমন মেয়ে সাথে বসে খাইয়ে দিলে তার জন্য একটি ইয়াবা ট্যাবলেট মূল্য দিতে হয় ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা। আর মেয়ের সাথে ইনজয় করতে হলে আরো দিতে হবে ৫ হাজার এভাবেই তারা হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এবং বিভিন্ন সময় মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করেও লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই হোটেলের বিরুদ্ধে।
এখানে আরো দেখা যায় উঠতি বয়সী যুবক-যুবতীর হর হামেশায় যাওয়া আশা এবং আরো দেখা যায় যে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলেমেয়েরা প্রায়ই এখানে এসে রুম ভাড়া নিচ্ছে এভাবেই যুবসমাজ ধ্বংস করছে এই হোটেলটি। এ বিষয়ে এই হাবিব হোটেলর আশপাশের ব্যবসায়ীরা বলেন আমরা এখানে ব্যবসা করতে আসি আর এদের অসামাজিক কার্যকলাপ ও হট্টগোল লেগেই থাকে। মাঝেমধ্যে মনে হয় ব্যবসা ছেড়ে এখান থেকে চলে যাই। আরো তথ্য রয়েছে থানা প্রশাসন এখান থেকে মোটা অংকের মাসোয়ারা নিচ্ছেন তাই তারা কোন কোন সময় পুলিশের উদ্বর্তন কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে চলেন।
এ সব বিষয় নিয়ে আবারও আমরা হাবিব আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার মোঃ শামীম হোসেন মাটির সাথে কথা বলার চেষ্টা করি কিন্তু তিনি কোনো ভাবেই কথা বলতে রাজি না । তিনি উল্টো সাংবাদিক কে বলেন এমন অনেক সাংবাদিক ও পুলিশ আমার বন্ধু আছে আর আমি এলাকার নেতা ও পুলিশকে প্রতিদিন টাকা দেই আপনাদের যা মনে খুশী তাই করতে পারেন ছবি তুললে এতে আমার কোনো সমস্যা নেই।
এ দিকে আমাদের হাতে আসে একটি ভিডিও ফুটেজ সেই ভিডিওতে দেখা যায় একজন ভুক্তভোগী এই হাবিব হোটেলের ভিতরে কয়েকজন ব্যক্তি কে দিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা , আমারা ঐ ব্যক্তির কাছে জানতে চাইলে তিনি কিসের টাকা দিয়েছিলেন ? অবশেষে ঐ ভুক্তভোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন আমি হোটেলে যাওয়ার পরে আমার কাছে থেকে ১০০০ টাকা নেওয়ার পরে একটি মেয়ের সাথে এক রুমে কাজ করতে বলে হোটেল ম্যানেজার ঐ রুমে ঢুকতে না ঢুকতেই আমার সাথে শুরু হয় খারাপ আচরণ তখন আমি প্রশ্ন করি আপা আমার সাথে খারাপ আচরণ করতেছেন কেন এই কথা বলতেই উল্টা একটি থাপ্পর মারেন এবং হোটেল ম্যানেজার মাটির সহায়তায় মারধর করে ঐ রুমে মেয়ে সহ আটক রেখে আমার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন এবং এই বিষয় নিয়ে কাউকে কিছু জানালে মেরে ফেলার হুমকিও প্রধান করেন ম্যানেজার তাই আমি আমার মান-সম্মানের দিকে তাকাইয়া কাউকে কিছু না বলে ওখান থেকে চলে আসি।