
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম , স্টাফ রিপোর্টার:
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের তাড়াইলের চক এবং মোনাইলের চকে তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কেটে কৃষক ও সরকারের সর্বনাশ করে যাচ্ছেন, অবৈধ মাটি ব্যবসায়ী, ডাঃ প্রদীপ কুমার বসু, শাহীন এবং রুবেল সহ অজ্ঞাত ২০ থেকে ৩০ জন। ১৮-০৪-২০২৪ ইং তারিখে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় অবৈধ মাটি ব্যবসায়ী ডাক্তার প্রদীপ কুমার বসু তাড়াইলের চকে ১৫ থেকে ২০ টি অবৈধ দশ চাকার ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি পরিবহন করে কৃষকদের সর্বনাশ করে যাচ্ছেন। সাধারণ কৃষকরা ভয়ে মুখ খুলতে পারেনা। কৃষকদের অভিযোগ আমাদের ৩ ফসলি কৃষি জমির উপর দিয়ে দশ চাকার অবৈধ ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি পরিবহনেরর ফলে, আমাদের তিন ফসলি কৃষি জমিতে ভবিষ্যতে কোন ফসল উৎপাদন হবে না,কৃষকরা আরও অভিযোগ করেন আমাদের রোপনকৃত ফসল পেঁয়াজ জোর করে বস্তায় ভরে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রতিবাদ করার সাহস নেই, কারণ মাটি ব্যবসায়ীরা অনেক শক্তিশালী,তারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কাটছে এবং আমাদের তিন ফসলি কৃষিজমির উপর দিয়ে জোর করে ১০ চাকার অবৈধ ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি পরিবহন করছে।এদিকে একই ইউনিয়নের মোনাইলের চকে ৩০ থেকে ৪০ টি অবৈধ ড্রাম ট্রাক দিয়ে তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছেন অবৈধ মাটি ব্যবসায়ী শাহীন এবং রুবেল । মোনাইলের চকে ৫০ বিঘা কৃষি জমির মাটি কেটে ডোবায় পরিনত করার তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছেন। তিন ফসলি কৃষি জমি রক্ষায় জেলা প্রশাসক, ইউএনও এবং এসিল্যান্ডের নিকট গণপিটিশন দিয়ে কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না।বাধ্য হয়ে সাধারণ কৃষকরা ভূমি মন্ত্রণালয়ে গণপিটিশন/অভিযোগ দেবেন বলে জানা যায়। সাধারণ কৃষকদের দাবি তিন ফসলি কৃষি জমির মাটিকাটা বন্ধে প্রশাসন মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা না দিয়ে, লোক দেখানো ঢিলেঢালা অভিযান করে সামান্য কিছু জরিমানা করে থাকেন। যার ফলে সকালে বন্ধ হলে বিকেলে চালু হয়, বিকেলে বন্ধ হলে রাতে চালু হয়, রাতে বন্ধ হলে পরের দিন আবার চালু হয়। আমরা ভূমি মন্ত্রণালয় সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সর জমিনে গিয়ে আরো দেখা যায়, ১০ চাকার অবৈধ ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি পরিবহনের ফলে সরকারের রাস্তা সহ শিমুলিয়া মোরে অবস্থিত নতুন ব্রিজ ফাটল ধরেছে,যেকোনো সময় ইট পাথরে গাথা ব্রিজ ভেঙ্গে যাবে। ফলে সরকার ও জনসাধারণের কোটি কোটি টাকা অপচয় হচ্ছে,আরে সেই অপচয়ের কোটি কোটি টাকা গুটি কয়েক অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীদের পকেটে যাচ্ছে। অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীদের দাবি আমরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই সবকিছু করছি, নিউজ করে কোন লাভ হবে না। শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন অভিযান চলমান আছে, আমরা আবার অভিযান করব।