
স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শ্রমিকরা ভয় ও নিপীড়নের মধ্যে রয়েছেন। এখানে কারখানায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়মুক্তি পেয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। এ ঘটনা খতিয়েও দেখা হয় না। এছাড়া, রাষ্ট্রীয় মদদে শ্রমিকদের অধিকার দমন করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে রানা প্লাজা ধস, আশুলিয়ার তাজরীন ফ্যাশনসে আগুনে শ্রমিকদের প্রাণহানি এবং ২০২৩ সালে পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনে দমন-পীড়নের ঘটনাগুলো তুলে ধরা হয়েছে।
রানা প্লাজা ও তাজরীন ফ্যাশনসের ঘটনায় আইনি সহায়তা দেওয়া সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) ও অন্যান্য এনজিও একাধিক ক্ষতিপূরণের মামলা করেছিল। তবে, ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ এবং ভবন ও কারখানা মালিকদের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোর সুরাহা হয়নি।
যেমন ২০২৩ সালের জুনে বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের (বিজিআইডব্লিউএফ) গাজীপুর শাখার সভাপতি শহিদুল ইসলাম পোশাক শ্রমিকদের বকেয়া বেতন আদায়ের চেষ্টা করলে হামলায় নিহত হন। একই বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে ন্যূনতম মজুরির দাবিতে আন্দোলনের সময় আরও অন্তত চারজন পোশাক শ্রমিক নিহত হন।
অ্যামনেস্টির হিসাবে, ২০২৩ সালের আন্দোলনের পর থেকে পোশাক শ্রমিকদের বিরুদ্ধে অন্তত ৩৫টি মামলা করা হয়েছে। এতে ১৬১ পোশাক শ্রমিকসহ ৩৫ হাজার ৯০০ থেকে ৪৪ হাজার ৪৫০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। ৩৫টি মামলার মধ্যে ২৫টি এমন সব পোশাক কারখানা করেছে, যেগুলো বিশ্বের বড় বড় ফ্যাশন ব্র্যান্ডের জন্য পোশাক তৈরি করে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের উপপরিচালক নাদিয়া রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের যথেষ্ট পরিমাণ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে অ্যামনেস্টি। একই সঙ্গে অবিলম্বে শ্রমিক অধিকার দমন বন্ধ এবং শ্রমিকদের মতপ্রকাশ ও সমাবেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।