শিবালয়  গণপিটিশন দিয়ে তিন ফসলি কৃষি জমির মাটিকাটা স্হায়ীভাবে বন্ধ করা যাচ্ছে না

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম:

মানিকগঞ্জের  শিবালয় উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের তাড়াইলের চক এবং মোনাইলের চকে তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কেটে কৃষক ও সরকারের সর্বনাশ করে যাচ্ছেন, অবৈধ মাটি ব্যবসায়ী, ডাঃ প্রদীপ কুমার  বসু, শাহীন এবং অনি সহ অজ্ঞাত ২০ থেকে ৩০ জন। ০১-০৫-২০২৪ ইং তারিখে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় অবৈধ মাটি ব্যবসায়ী এই ডাক্তার প্রদীপ কুমার বসু  তাড়াইলের চকে ১৫ থেকে ২০ টি অবৈধ দশ চাকার ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি পরিবহন করে   কৃষকদের সর্বনাশ করে যাচ্ছেন। সাধারণ কৃষকরা ভয়ে মুখ খুলতে পারেনা। কৃষকদের অভিযোগ আমাদের ৩ ফসলি কৃষি জমির উপর দিয়ে   দশ চাকার অবৈধ ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি পরিবহনেরর ফলে, আমাদের তিন ফসলি কৃষি জমিতে ভবিষ্যতে কোন ফসল উৎপাদন হবে না,কৃষকরা আরও অভিযোগ করেন আমাদের রোপনকৃত ফসল পেঁয়াজ জোর করে বস্তায় ভরে নিয়ে গিয়েছে এবং অবৈধ ড্রামট্রাক চলাচলের কারনে ধুলোবালি গিয়ে মরিচ ক্ষেতের সাজ নষ্ট হচ্ছে ও মরচি গাছ মরে যাচ্ছে, যে জায়গায় মরিচ সপ্তাহে ৫০ মণ মরিচ হতো সে জায়গা এখন ৫ কেজি মরিচও হয় না। আমাদের প্রতিবাদ করার সাহস নেই, কারণ মাটি ব্যবসায়ীরা অনেক শক্তিশালী,তারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কাটছে এবং আমাদের তিন ফসলি কৃষিজমির উপর দিয়ে জোর করে ১০ চাকার অবৈধ ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি পরিবহন করছে।এদিকে একই ইউনিয়নের মোনাইলের চকে ৩০ থেকে ৪০ টি অবৈধ ড্রাম ট্রাক দিয়ে তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছেন অবৈধ মাটি ব্যবসায়ী শাহীন এবং অনি । মোনাইলের চকে ৫০ বিঘা কৃষি জমির মাটি কেটে ডোবায় পরিনত করার তান্ডব   চালিয়ে যাচ্ছেন। তিন ফসলি কৃষি জমি রক্ষায় জেলা প্রশাসক,  ইউএনও এবং এসিল্যান্ডের নিকট গণপিটিশন দিয়ে স্হায়ী  প্রতিকার পাচ্ছেন না।। সাধারণ কৃষকদের দাবি তিন ফসলি কৃষি জমির মাটিকাটা বন্ধে প্রশাসন মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা না দিয়ে, লোক দেখানো ঢিলেঢালা অভিযান করে সামান্য কিছু জরিমানা করে কৃষকদের মনের কষ্ট আর ও  বারিয়ে দিয়ে  থাকেন।ঢিলেঢালা অভিযানের ফলে সকালে বন্ধ হলে বিকেলে চালু হয়, বিকেলে বন্ধ হলে রাতে চালু হয়, রাতে বন্ধ হলে পরের দিন আবার চালু হয়।   আমরা ভূমি মন্ত্রণালয় সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সর জমিনে গিয়ে আরো দেখা যায়, ১০ চাকার অবৈধ ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি পরিবহনের ফলে সরকারের  রাস্তা সহ শিমুলিয়া মোরে অবস্থিত নতুন ব্রিজ ফাটল ধরেছে,যেকোনো সময় ইট পাথরে গাথা ব্রিজ ভেঙ্গে যাবে।  ফলে সরকার ও জনসাধারণের   কোটি কোটি টাকা অপচয় হচ্ছে,আরে সেই  অপচয়ের কোটি কোটি টাকা গুটি কয়েক অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীদের পকেটে যাচ্ছে।তবে শিমুলিয়া তাড়ালের চকের মাটি ব্যবসায়ী ডাঃপ্রদীপ বসু বলেন আমি যেখানে  মাটি কাটছি, সেটা তিন  ফসলি কৃষি জমি নয় ।  অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীদের দাবি আমরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই সবকিছু করছি, নিউজ করে স্থায়ীভাবে তিন ফসলি কৃষি জমির মাটিকাটা বন্ধ করা যাবে না। শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বেলাল হোসেন বলেন গতকাল অভিযান করা হয়েছে, আমরা আবার ও  অভিযান করব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *