
রাজীব আহেমদ:
রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার জন্য মানুষের চেষ্টার শেষ নেই। টাকার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছে মানুষ। টাকা পেলে তবেই শান্ত। টাকা দরকার হোক সেটা বৈধ কিংবা অবৈধ। চট্টগ্রামে আছে অবৈধ ব্যবসায়ীরা, অবৈধ ব্যবসা করে রাতারাতি হয়ে গেছেন কোটিপতি।
চট্টগ্রামের চকবাজার থানাধীন মেহেদীবাগ ন্যাশনাল হাসপাতালের পাশে অবৈধ ব্যবসায়ী লিটন ও ম্যানেজার ফেরদৌস দীর্ঘদিন যাবত পাল্লা স্পা সেন্টার নাম দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন অবৈধ বাণিজ্য। লিটনের এখানে ১৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকেন মানুষের কাছ থেকে। আর নেশায় ভূত হয়ে আছে চট্টগ্রামের ক্রাইম জগতের মানুষ। লিটনের এই আড্ডাখানায় যেহেতু সুন্দরী মেয়েদের রাখা হয় ওই মেয়েদের সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য ক্রইম জগতের মানুষগুলো অপরাধ করে টাকা ইনকাম করে আর সেই টাকা দিয়েই ফুর্তি করে লিটনের অবৈধ পাল্লা স্পা সেন্টারে। যার কারণে চকবাজার থানা এলাকায় চকবাজার থানা এলাকায় অপরাধ প্রবণতা থামেনা। এ বিষয়ে জানার জন্য মোবাইলে লিটনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার ম্যানেজার ফেরদৌসকে দিয়ে আমাদের সাথে কথা বলেন। ম্যানেজার বলেন আসলে আমরা তো স্পার ব্যবসা করি অসামাজিক ব্যবসা করি না। ম্যানেজার আরো বলেন আমাদের এখানে রাজনীতিবিদ প্রশাসনের লোকজন এবং কিছু কিছু সংবাদ কর্মী আসে তাদের সাথে আমাদের ভালো সম্পর্ক। পরবর্তীতে বলেন আমাদের সাথে দেখা করেন। লিটনের এই অবৈধ স্পা বাণিজ্য বন্ধ না হলে বেড়ে যাবে অপরাধ প্রবণতা। কারণ লিটনের এখানে একজন পুরুষ একজন মহিলা দ্বারা অসামাজিক কাজে লিপ্ত হওয়ার জন্য এক ঘন্টায় ৩০০০ টাকা করে দেয়া লাগে। টাকা ইনকাম করতে হলে অবৈধ কাজ করতে হবে তা না হলে ৩০০০ টাকা দেওয়া কঠিন। এ বিষয়ে চকবাজার থানা সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মেহেদীবাগ এলাকার সাধারণ মানুষ।