পারাঙ্গা বাবুল বাজার ডলু খাল থেকে অবৈধ বালু উত্তলন প্রশাসন নিরব

কামরুল ইসলাম:

লোহাগাড়া উপজেলার চুনতী পারাঙ্গা বাবুল বাজার নামক এলাকায় নাজিম ও সাহাব উদ্দিনের নেতৃত্ব ডলু খাল থেকে অবৈধ বালু উত্তলন প্রশাসন কে অবহিত করলেও প্রশাসন নিরব ।

লোহাগাড়া উপজেলার চুনতী ইউনিয়নর পারাঙ্গা ডলু খাল থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে এই বিষয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি লোহাগাড়া কে অবহিত করলে ও তিনি নিরভ ভূমিকা পালন করেছেন। এর সাতে বাবুল বাজারের পরিচিত নাজিম এমচর হাট এলাকার সাহাব উদ্দিন নামের দুই বালু খেকো জড়িত। স্থানীয় সচেতন মহল জানান এই দুই জন ডলু খাল থেকে বালু উত্তোলন করছে বৈদ কি অবৈধ তা প্রশাসন ভালো করে জানেন তবুও প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করে সময়ে সময়ে লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করেন কিন্তু জব্দকৃত বালুর টাকা সরকারি পান্ডে জমা হয় কিনা কারো জানা নেই । কিন্তু এলাকাবাসীরা আরও বলেন স্থানীয় কয়েকজন বালু খেকো মিলে বিভিন্নস্থান থেকে বালু উত্তোলন করছে প্রশাসন কে অবহিত করলে ও প্রশাসন নিরব বিভিন্ন স্থান থেকে বালু উত্তলনের কারণে পারাঙ্গা বাবুল বাজার নামক এলাকায় ফসলি কৃষি জমি দিনের পর দিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে ।এই বালু যারা উত্তলন করছে জাইগা টা মনে হয় বালু উত্তোলন কারিদের বাবার সম্পদ। এইটা জানি তারা বালু ব্যবসায়ী এই বালু সম্ভবত সরকারের অনুমোদন ছাড়া ড্রেজার মেশিন দিয়ে লেয়ারের নিচের বালু উত্তোলনের কারণে হয়তো বা খালের আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা ঝুঁকির মুখে পড়তে যাচ্ছে
স্থানীয়রা আরও বলেন , অনতিবিলম্বে বালু উত্তোলন বন্ধ না করলে ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হতে পারে কয়েকটি গ্রাম।লোহাগাড়া উপজেলার চুনতী ইউনিয়নের পারাঙ্গ বাবুল বাজার এলাকায় ১০ থেকে ১৫টি বাড়ি খালে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন কয়েকটি ব্রিজ ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে । ব্রিজের ৫০০ মিটারের মধ্যে খাল থেকে প্রতিদিন ট্রাকে ট্রাকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে । অথচ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন (১৯৯৫ সনের ১ নম্বর আইন) অনুযায়ী সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারেজ, বাঁধ, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা থাকলে অথবা আবাসিক এলাকা থেকে সর্বনিম্ন এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এখানকার স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী জনসাধারণ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করে তা দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করছে।প্রতিদিন শত শত ট্রাক বালু বিক্রি চলে এখানে। প্রতি গাড়ি থেকে তারা নেয় ৭০০ টাকা করে। আর এতে প্রতিদিন আয় করছে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা করে।সচেতন মহল বলেন, সর্বনাশা বালু উত্তোলনের বিষয়ে( ইউ এন ও)মহোদয় এবং (এসিলেন্ড)মহোদর জানেন।আরও জানা গেছে, যারা পরিচালনা করেন তাদেরকে কিছু বলা যাচ্ছে না কারণ জায়গা টা সম্ভবত তাদের খতিয়ান ভুক্ত। ভাঙনের ঝুঁকিতে থাকা স্থানীয়রা জানান,অবৈধ, বৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন থেকে ইতোমধ্যে লোকদেখানো ব্যবস্থা গ্রহণের কথা শোনা যায়। কিন্তু জোরালো কোনো পদক্ষেপ না নেয়ার কারণে বালু ব্যবসায়ীরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ক্রমান্বয়ে ভূমিহীন হয়ে পড়বে তিন গ্রামের মানুষ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *