
স্টাফ রিপোর্টার :
আলফাডাঙ্গা উপজেলার আসাদুজ্জামান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি, প্রধান শিক্ষক’র বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগে বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য শহিদুল ইালাম ও আরব আলী,একই ওয়ার্ডে পৌর কাউন্সিলর হারুন অর রশিদ,স্হানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি মো. রবিউল আলম,মাসরেকুল হাসান,ওবায়দুর রহমান,পার্শবর্তী উপজেলার শেখর ইউপি সদস্য মো. মহাসিন শেখ,কামরুল হক ভূঁইয়া গত ২০ মে ২০২৪ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছারমীন ইয়াসমীন ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা বরাবর অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া অভিযোগপত্রের অনুলিপি সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহনের জন্য,ফরিদপুর জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা , উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রেসক্লাব আলফাডাঙ্গা ও আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবে প্রদান করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,আসাদুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, পরিচ্ছন্ন কর্মী ও আয়া পদে নিয়োগে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বলে জানা যায়। একই সঙ্গে আরও কয়েক ব্যক্তির কাছ থেকে নিয়োগের কথা বলে প্রধান শিক্ষক লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছেন। অবৈধভাবে যাতে নিয়োগ বাণিজ্য না করতে পারে তাই এ নিয়োগ বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগকারী ও বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সভাপতি ও যোগসাজশে অর্থ লেনদেন, ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে তিনটি পদে গোপনে নিয়োগ কার্যক্রম করছেন। ম্যানেজিং কমিটির একজন অভিভাবক সদস্য আরব আলী অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক আমাদের নিয়োগ বোর্ড ও নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ সম্পর্কে কোনো কিছুই অবগত করেননি। মিটিং ছাড়াই গোপনে আগে থেকে প্রধান শিক্ষক তিন পদে তেইশ লক্ষ টাকা নিয়ে নিয়োগের পাঁয়তারা করছেন।অভিভাবক সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম বলেন,ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পরে সভাপতির ও প্রধান শিক্ষক গত নিয়োগে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছে।বর্তমান নিয়োগের বিষয়টি কেউ যেন না জানে সেজন্য রাতের আঁধারে নিয়োগের কার্যক্রম সম্পন্ন করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।’ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা হয়েছে।তড়িঘড়ি করে টাকার বিনিময় নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ করছে।
পৌর কাউন্সিলর হারুন অর রসিদ বলেন,নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা হয়েছে এখন নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা উচিত। অভিযুক্ত দুই জন গোপনে নিয়োগ দিচ্ছে। আমার জানা মতে প্রধান শিক্ষক তার আপনজন দিয়ে একজনের কাছ থেকে আট লক্ষ টাকা চেকের মাধ্যমে নিয়ে ছিল। অন্য জায়গায় বেশি পেয়ে তার টাকা ফেতর দিয়েছে,এরা স্কুলটি ধংস্ব করে দিচ্ছে।
রবিউল আলম,মাসরেকুল হাসান,ওবাদুর রহমান মহাসিন জানান, সম্প্রতি কর্মচারী নিয়োগের বিষয়ে কোনো আলোচনা বা মিটিং না করে গোপনে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করছেন প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি, যা সম্পূর্ণ অবৈধ।স্কুলে আগে ৭০০ -৮০০ ছাত্র ছাত্রী ছিল এখন ১৫০-২০০ আছে। এরা স্কুলে সবসময় দূর্নীতি অনিয়মের মধ্যে পরিচালনা করে।পাশের হার নেই,স্কুলটা ধংস্বের শেষ প্রান্তে।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, যে কোন লোকের অভিযোগ থাকতেই পারে। পদ্মা সেতু তৈরি করার সময় অভিযোগ হয়েছিল। নিয়োগ বিধি মেনেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পাদন করা হচ্ছে। তাছাড়া ল্যাব অপারেটর ৪, আয়া ১৩,পরিচ্ছন্ন কর্মী ৪ জন প্রার্থী আবেদন করেছেন। তাদের মধ্য থেকে মেধা এবং যোগ্যতা অনুযায়ী প্রথম হওয়া প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হবে।
নিয়োগ বিষয়ে স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি নাজিমুদ্দিন আহমেদ রন্জু জানান, একটি মহল স্কুল এবং কমিটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য উঠেপরে লেগেছে। নিয়োগ কার্যক্রমের জন্য কোনো অর্থের লেনদেন হচ্ছে না বলে তিনি জানান।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষদের অবগত করেছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আগামী ২৩ মে বৃহস্পতিবার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।বিশ্বাস যোগ্য সূত্রে হতে অভিযোগ প্রমানিত হলে নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করা হইবে।
শুনেছি নিয়োগ প্রক্রিয়াটি চলমান। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছারমীন ইয়াসমীন বলেন, নিয়োগ বন্ধের একটি আবেদনপত্র পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।