
মোঃ শামীম হোসেন:
রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার জন্য মানুষের চেষ্টার শেষ নেই। টাকার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছে মানুষ। টাকা পেলে তবেই শান্ত। টাকা দরকার হোক সেটা বৈধ কিংবা অবৈধ। চট্টগ্রামে আছে অবৈধ ব্যবসায়ীরা, অবৈধ ব্যবসা করে রাতারাতি হয়ে গেছেন কোটিপতি।
চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানাধীন জেএসসিে মোড় সানমার শপিং সেন্টারের পাশে হোটেল প্যারাডাইস ও এর ৩য় তলায় অবৈধ ভাবে
শামীম ও তার পার্টনার হৃদয় দীর্ঘদিন যাবত শামীমের বসুন্ধরা স্পা সেন্টার নাম দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন অবৈধ বাণিজ্য। শামীমের এখানে ১৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকেন গ্রাহকের কাছ থেকে। আর এখানে এসে নেশায় ভূত হয়ে আছে চট্টগ্রামের ক্রাইম জগতের মানুষ। শামীমের এই আড্ডাখানায় যেহেতু সুন্দরী মেয়েদের রাখা হয় ওই মেয়েদের সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য ক্রইম জগতের মানুষগুলো অপরাধ করে টাকা ইনকাম করে আর সেই টাকা দিয়েই ফুর্তি করে শামীমের অবৈধ বসুন্ধরা স্পা সেন্টারে। যার কারণে পাঁচলাইশ থানা এলাকায় জিএসসি মোড়ে অপরাধ প্রবণতা থামেনা। এ বিষয়ে জানার জন্য মোবাইলে শামীম ও পার্টনার হৃদয়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা কেউ এ বিষয়ে কথা বলবেন না বলে জানান । ।
স্পা সেন্টারের লোকেড়া বলেন, আমাদের এখানে রাজনীতিবিদ প্রশাসনের লোকজন এবং কিছু কিছু সংবাদ কর্মী আসে তাদের সাথে আমাদের ভালো সম্পর্ক , আমাদের সাথে দেখা করেন। শামীমের এই অবৈধ বসুন্ধরা স্পা বাণিজ্য বন্ধ না হলে বেড়ে যাবে অপরাধ প্রবণতা। কারণ শামীমের এখানে একজন পুরুষ একজন মহিলা দ্বারা অসামাজিক কাজে লিপ্ত হওয়ার জন্য এক ঘন্টায় ৩০০০ টাকা করে দেয়া লাগে। টাকা ইনকাম করতে হলে অবৈধ কাজ করতে হবে তা না হলে ৩০০০ টাকা দেওয়া কঠিন। অপরদিকে প্যারাডাইস আবাসিক হোটেল নাম দিয়ে দেধারছে চালাচ্ছে দেহ ব্যবসা । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্যারাডাইস হোটেলের বয়রা বলেন , আমাদের এই আবাসিক হোটেলে থাকার জন্য ভালো পরিবেশ আছে। আমাদের মোবাইলে নামি – দামী মেয়েদের ছবি আছে । যা দেখে পছন্দ করে হোটেলে থাকতে আসা মানুষগুলো।
আমাদের এখানে কাষ্টমাররা যেই মেয়েকে পছন্দ করবে , আমরা সেই মেয়েকে কল করে ডেকে আনি। এক রাতের জন্য এক , এক মেয়েদের জন্য এক এক রেট। সর্বনিম্ন রেট ৫,০০০/- থেকে ২০,০০০/- পর্যন্ত দামের মেয়ে মানুষ আছে। যার যা পছন্দ সেই মাওফিক আমরা ব্যবস্থা করি। এ বিষয়ে জানার জন্য পাচল্যাইশ থানার ওসির মোবাইলে ফোন করে তাকে পাওয়া যায় নাই। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পাঁচলাইশ থানাধীন জিএসসি মোড় এলাকার সাধারণ মানুষ।