মিথুন কর্মকার:
বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় রিমাল এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ। এখনো পানিবন্দি রয়েছে কয়েক হাজার মানুষ ও বিধ্বস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি। সেই সাথে ভেসে গেছে গবাদি পশু। অতীতের বড় বড় বন্যা গুলোতে নিজেদের জানমাল রক্ষার্থেই ছিল সবাই ব্যস্ত। কিন্তু এবার ঘূর্ণিঝড় রিমালের পরবর্তী সময়ে দেখা গেল ভিন্ন। বন্যার পানি যখন সব ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তখনও বন্ধ মোবাইল নিয়ে ছোটাছুটি করতে দেখা গেছে জেনেটারের দোকানে অসংখ্য মানুষকে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বরগুনায় প্রবল বন্যার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ২ দিন ধরে বিদ্যুৎ বন্ধ। মোবাইল ফোন ও টর্চ লাইট চার্জ করতে স্থানীয়ভাবে চালু করা কিছু জেনারেটরের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে লোকজনকে। লম্বা লাইনে অপেক্ষমাণ থেকে ২০-৩০ টাকার বিনিময়ে চার্জ করছেন তারা।
আমতলী উপজেলার ঘুরে ঘুরে মোবাইল চার্জিং এর ব্যবসা করছেন বশির, জেনারেটর মালিক বশির বলেন আমি দেখলাম টাকা নিলেও মানুষের উপকার হচ্ছে। তাই জেনারেটর ভাড়া করে সকলের চার্জের ব্যবস্থা করছি। আমি চার্জ প্রতি ৫০, ৩০, ২০ টাকা যার কাছ থেকে যা নেওয়া যায় নিচ্ছি। আর এলাকার মানুষও খুশি।
মোবাইল চার্জ দিতে আসা জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুল বারী মাস্টার, ইউপি সদস্য আব্দুস সোবাহান বলেন,টাকা লাগছে এতে কোনো সমস্যা নেই। মোবাইল, লাইট, চার্জার লাইট চার্জ দিতে পেরেছি, এতেই আমারা খুশি। তাছাড়া তাদেরও জেনারটর খরচ আছে। তাদের কারণে আমাদের উপকার হচ্ছে।