
প্রভাস চক্রবর্ত্তী,বোয়ালখালী।
যখন পরবেনামোর পায়ের চিহ্ন এ বাটে
বোয়ালখালী প্রভাতী কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সাংবাদিক হিমাদ্রী রাহার মা শ্রীমতি কাজল রেখা দত্তের আজ ১৫ দিনের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান নিজবাড়ীতে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলা টিভির চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান লোকমান চৌধুরী, বোয়ালখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, অর্থসম্পাদক প্রভাস চক্রবর্ত্তী দপ্তর সম্পাদক নঈম উদ্দিন, সদস্য শাহালম বাবলু, সাবেক ৬ নং ওর্য়াডের কাউন্সিলর ক্লাবের শুভাকাঙ্খি মাহামুদুল হক মেম্বার,সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
আমরা এক গুনিজনকে হারালাম।স্বামী দেবার্শীষ রাহা তিনিও একজন শিক্ষক। বর্তমানে অবসর। তিনি জানান,কাজল রেখা খুবই একজন পরিশ্রম, ধার্মিক,সাংগঠনিক বিনয়ী নেত্রী ছিলেন।
উল্লেখ্য গত ৯মে বৃহস্পতিবার নগরীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে সকালে পরলোকগমন করেন। তিনি ১ছেলে,১মেয়েসহ বহুগুনগ্রাহী রেখে যান।
শ্রাদ্ধ হিন্দুশাস্ত্রানুযায়ী পিতৃপুরুষের আত্মার শান্তির উদ্দেশ্যে এবং তাদের আশীর্বাদ কামনায় দান-ধ্যান ও অতিথিভোজন অনুষ্ঠান। সাধারণত মৃত ব্যক্তির সন্তান কিংবা আত্মীয়-স্বজনরা এ অনুষ্ঠান পালন করে থাকে।
আদ্যশ্রাদ্ধ অশৌচান্তে মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে করণীয়। বর্ণভেদে ব্যক্তির মৃত্যুদিবসের ১১, ১৫ অথবা ৩০ দিন পরে এটি অনুষ্ঠিত হয়। মৃত ব্যক্তির পরিবারের লোকজন এ-কদিন ফলমূল, নিরামিষ এবং লবণ ছাড়া আতপ চালের ভাত খায়। শ্রাদ্ধের আগের দিন মৃত ব্যক্তির পুত্ররা মাথার চুল ফেলে দেয় এবং শাস্ত্রীয় নিয়ম-কানুনসমূহ পালন করে। শ্রাদ্ধের দিন সামর্থ্য অনুযায়ী আত্মীয়-স্বজনসহ পাড়া-প্রতিবেশীদের নিমন্ত্রণ করে খাওয়ায়। নিকট অতীতে ধনী ব্যক্তিরা কয়েক হাজার পর্যন্ত লোককে খাওয়াত; বর্তমানে আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের কারণে সেই মানসিকতার পরিবর্তন ঘটেছে। শ্রাদ্ধ উপলক্ষে ব্রাহ্মণ ও আত্মীয়-স্বজনদের নানারকম দান-ধ্যানও করা হয়।