
মনজুরুল ইসলাম:
নান্দাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থীর লিফলেট বিতরণকালে কিশোর মুরাদ হাসান ভূঁইয়া (১৭) খুনের ঘটনায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা সহ ১১ জনের নামে মামলা হয়েছে। গত শনিবার রাতে মুরাদের বাবা তফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে এই হত্যা মামলা দায়ে করেন। মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন নান্দাইল পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম, সরকারি শহীদ স্মৃতি আদর্শ কলেজ শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন, সাধারণ শরিফুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল আলম হামিম, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাদিম, যুবলীগ নেতা মো. লাবন, সাজিদ হাসান নিপুন, ছাত্রলীগ নেতা মুরাদ, মো. মাজহারুল, মিজান ও মো. আমিন।
এছাড়াও উক্ত হত্যা মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৩/৪ জনকে।
গত শুক্রবার দিবাগত রাত ৮.৩০ মিনিটে উপজেলা নির্বাচনের আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক ভূঁইয়ার নির্বাচনি লিফলেট বিতরণ করতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে কিশোর মুরাদ নিহত হয়।
হত্যা মামলা ১১ জন আসামীর মধ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থেকে এজাহারের ৩নং আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামি নান্দাইল শহীদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম।
পুলিশ সুত্রে জানাযায়, ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, গৌরীপুর সার্কেল এবং নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের দিকনির্দেশনায় এস.আই. মোঃ সুজন মিয়া সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ গত রবিবার (২ জুন) শরিফুল করিম কে গ্রেফতার করে।
নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মজিদ বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে এজাহার নামীয় ৩নং আসামি শরিফুল ইসলাম (২৭) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে শরিফুল ইসলামকে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।