বান্দরবানে সাবেক আইজিপির ব্যাপক সম্পদের হদিস পাওয়া গেছে

কামরুল ইসলাম:

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও মেয়ের নামে বান্দরবানের সুয়ালক ও লামার ডলুছড়িতে রয়েছে ব্যাগক সম্পদ। স্থানীয়দের কাছে এসপির জায়গা নামে পরিচিত এসব জমিতে রয়েছে মাছের প্রজেক্ট, গরুর খামার, ফলের বাগান ও রেস্টরুম। বান্দরবানের সুয়ালক ও লামা উপজেলার ডলুছড়ি মৌজার টংগঝিরিতে এলাকায় রয়েছে প্রায় ১০০ একর জমি। সুয়ালক এলাকায় চা বোর্ড অফিস সংলগ্ন এলাকায় বেনজীর, তার স্ত্রী জিসান মির্জা ও মেয়ে ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীরের আহমেদের নামে পঞ্চাশ একরেরও বেশি জায়গা দখলে রয়েছে। ২৫ একর জায়গা লিজ নেওয়ার পর ক্ষমতায় থাকাকালীন এলাকার আশেপাশের জায়গা দখলে নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে মৎস্য ও গরুর খামার। রয়েছে বিশাল ফলের বাগান। দোতলা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আলিশান বাংলো। বাগান বাড়িতে যাওয়ার জন্য রাস্তা করা হয়েছে। র‌্যাবের ডিজি থাকাকালীন সময়ে তিনি এসব কাজ করেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, বান্দরবান জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা মং ওয়াইচিং মারমা বেনজীরের জায়গাগুলো দেখাশোনা করেন। অভিযোগ রয়েছে, দোহাজারীর লেদু সওদাগরের নামে থাকা ২৫ একর লিজের জমি দখল করে নেনবেনজীর। এছাড়া চন্দনাইশের ব্যবসায়ী ইলিয়াস চৌধুরীর ২৫ একর লিজের জায়গাও দখল করা হয়।
ইলিয়াস চৌধুরী জানিয়েছেন সেখানে তার নিজের কেনা ৪৫ গ-া জায়গা দখল করে নেন বেনজীর। পাশে থাকা লিজের জায়গা দখল করে নেওয়া হয়।
লেদু সওদাগরের ছেলে মো. লোকমান জানিয়েছেন তার বাবার নামে রাবার হটিকালচার প্লটের লিজের ২৫ একর জায়গা বেনজীর দখল করে নেওয়ার পর সেগুলো আর খোঁজখবর নেওয়া হয়নি।
বর্তমানে জায়গা দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা মংওয়াইচিং মারমা অবশ্য জানান, তার ক্রয়কৃত জায়গার পাশে বেনজীরের জায়গা থাকায় তৎকালীন পুলিশ সুপারের অনুরোধে ওই জায়গাগুলো তিনি দেখাশোনা করছেন। তবে সেখানে থাকা বাগানবাড়ি, মৎস্য ও গরুর খামার তার নিজের বলে মং দাবি করেন।
জানা গেছে, লামা উপজেলার ডলুছড়ি মৌজায় রয়েছে আরও ৫৫ একর জায়গা। ওই এলাকার স্থানীয়দের জায়গা দখল করে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বেনজীরের বিরুদ্ধে।
বান্দরবানের দায়িত্বে থাকা কক্সবাজারের দুর্নীতি দমন বিভাগের উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ জানিয়েছেন সাবেক আইজিপি বেনজীরের বিষয়গুলো মূলত ঢাকা কেন্দ্রীয় অফিস দেখভাল করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *