
মোঃ সোহেল :
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের কক্সবাজার রিজিয়নের, রামু সেক্টরের অধীনস্থ, টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) সদা জাগ্রত অতন্দ্র প্রহরী থেকে সীমান্ত নিরাপত্তায় বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে দায়িত্ব পালন করছে। টেকনাফ ব্যাটালিয়ন সীমান্ত সুরক্ষা ছাড়াও চোরাচালান, মাদকদ্রব্য, অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং আন্তঃ রাষ্ট্রীয় সীমান্ত অপরাধ দমনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে যথাযথ ও কার্যকরীভাবে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে বেসামরিক পরিমন্ডলে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১১ জুন ২০২৪ তারিখ রাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয় বিজিবি।
বিজিবি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ১১ জুন ২০২৪ তারিখ টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ সাবরাং বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৫ হতে আনুমানিক ১.৪ কিঃ মিঃ দক্ষিণ দিকে জিন্নাখাল নামক এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে সাবরাং বিওপি’র একটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল বর্ণিত এলাকায় গমন করতঃ কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে বেড়িবাঁধের আঁড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। আনুমানিক ২২,০০ ঘটিকায় পূর্ব থেকেই কৌশলগত অবস্থানে থাকা বিজিবি টহলদল দুইজন ব্যক্তিকে নাফ নদী পার হয়ে একটি পোটলা হাতে নিয়ে জিন্নাখাল এলাকার দিকে আসতে দেখে এবং তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক পরিলক্ষিত হওয়ায় টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে। উক্ত ব্যক্তিরা দুর হতে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই তাদের হাতে থাকা পোটলাটি ফেলে দিয়ে রাতের অন্ধকারের সুযোগে দ্রুত দৌঁড়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামের দিকে পালিয়ে যায়। টহলদল উল্লেখিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে লুঙ্গি দিয়ে মোড়ানো একটি পোটলার ভিতর হতে ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট (মালিকবিহীন অবস্থায়) উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। টহলদল উক্ত এলাকায় ১২ জুন ২০২৪ তারিখ ০০,৩ ঘটিকা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন চোরাকারবারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। চোরাকারবারীদেরকে সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান, লেঃ কর্নেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ, বিজিবিএমএস, অধিনায়ক – টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)