ঈদের বাকি ৩দিন: টুংটাং শব্দে মুখরিত আমতলী

মিথুন কর্মকার , আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:

পবিত্র ঈদুল আযহার আর মাত্র দুই দিন বাকি। আসন্ন এ ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন হাটবাজারে ও কামার পল্লীগুলোতে বেড়েছে ব্যস্ততা, যেন দম ফেলার সময় নেই কামারদের।

কোরবানীর পশু কাটা-কুটিতে চাই ধারালো দা, বটি ও ছুরিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম। ঈদকে কেন্দ্র করে বরগুনার আমতলী উপজেলার প্রত্যন্ত জনপদের কামার পল্লী এরইমধ্যে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। কয়লার চুলোয় দগদগে আগুনে গরম লোহায় ওস্তাদ-সাগরেদের ছন্দময় পিটাপিটিতে মুখর হয়ে উঠেছে কামারের দোকানগুলো।

আমতলী পৌর শহরে বাজারের কামার মানিক কর্মকার ও তপন কর্মকার জানান, কোরবানী ঈদের পশু জবাই থেকে শুরু করে রান্নার জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি পর্যন্ত দা-বটি, ছুড়ি-ছোড়া, চাপাতি ইত্যাদি ধাতব হাতিয়ারের প্রয়োজন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে।

ঈদের চাহিদার যোগান দিতে আরও ১৫দিন আগে থেকেই কাজ শুরু হয়েছে।

উপজেলার আরেক কামার সুশীল হলদিয়ার জয়ন্ত বলেন, যেন নিশ্বাস ফেলার সময় নেই। ঈদের আর কয়েকদিন বাকি থাকলেও ক্রেতাদের চাহিদা সরবরাহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ঠিকমতো নাওয়া খাওয়ার সময় পাওয়া যাচ্ছে না। কাঁচা-পাকা লোহা দিয়ে তৈরি করা হয় ধাতব যন্ত্রপাতি। পাকা লোহার দা-ছুড়ি সবসময়ই বেশি দামে বিক্রি হয়ে থাকে।

এদিকে সংশ্লিষ্টরা জানান, লোহার দা আকৃতি ভেদে ২০০থেকে ৪৭০ টাকা, ছুরি ১০০ থেকে ৩০০ টাকা, ছোরা প্রতিটি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা, হাড় কোপানোর চাপাতি এক একটি ২২০ থেকে ৪০০ টাকা এবং ধার দেয়ার স্টিল প্রতিটি ৫০-১০০ টাকা করে বেঁচাকেনা হচ্ছে। পুরোনো যন্ত্রপাতি শান দিতে বা “পান” দিতে ১৫০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে একদামের কারবার নেই। বিক্রেতার সাথে আলোচনা সাপেক্ষে ক্রেতা দাম চূড়ান্ত করতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *