মোঃ ইসলাম উদ্দিন তালুকদার
ঢাকা শহরে টাকা উড়ে। যে ধরতে পারে তার ভাগ্যে জোটে বাড়ি গাড়ি আরো কত কি। আর যে ধরতে পারে না তার ভাগ্যে কিছুই জোটে না। দেশের অনেক সৎ কর্মকর্তা-কর্মচারী আছে যারা চাকরি শেষে অনেক কষ্ট করে দিন পার করে। এরকমই কয়েকজন কর্মচারীর সাথে আমাদের কথা হলে তারা বলেন কষ্ট হলেও ভালো আছি। এইসব সৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কষ্ট দেখে অনেকেই ভাবেন সৎ থেকে কি লাভ চাকরি চলে গেলে কষ্ট করতে হবে। তাই যেভাবেই হোক সুযোগ পেলে কামাতে হবে টাকা। বর্তমানে দেশে ঘরে ঘরে বেনজিরের চাইতেও বড় বড় অসৎ কর্মকর্তা রয়েছে। বেনাজির তো অনেক বড় জায়গায় চাকরি করেছেন তার থাকাটা অস্বাভাবিক নয় কিন্তু ছোট ছোট চাকরি করছেন তারাও অসৎ ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে কামাই রুজি করেছেন কারি কারি টাকা। এ যেন মগের মুল্লুক। এরকমই একজন অসৎ ধান্দাবাজ কর্মচারী ডেমরার রাকিবুল ইসলাম। ঢাকা ওয়াসার ধোলাই পারে কর্মরত ছিলেন রাকিবুল। সুযোগ বুঝে আয় করেছেন কারি কারি টাকা। যে টাকা দিয়ে রাজধানীর ডেমরা থানা এলাকার ৬৮ নং ওয়ার্ড রসুলপুরে কিনেছেন তিনটি প্লট ও দুটি বাড়ি। আড়াই কাঠা, সাড়ে তিন, কাটা ও চার কাঠার তিনটি প্লট রয়েছে তার। আশেপাশে রয়েছে দুটি বাড়ি। তিনি যে বাড়িতে থাকেন সেটি তিনতলা কমপ্লিট হয়েছে। নিচ তলায় চারটি দোকান দোতালায় তিনি থাকেন তিন তালা কাজ চলছে। ভেবে দেখুন ঢাকা ওয়াসার মাস্টার রোলের একজন কর্মচারীর যদি এত সম্পদ থাকে তাহলে বেনজিরের কেন থাকবে না। যা বলেছিলাম দেশের ঘরে ঘরে বেনজিরের চাইতেও বড় বড় বেনজির রয়েছে। এদেরকে ধরার জন্য সরকারের শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করতে হবে। তাহলেই বেরিয়ে আসবে এদেশের অসৎ কর্মকর্তা কর্মচারীর সংখ্যা । ডেমরার মাস্টার রোলের কর্মচারী রাকিবুল ইসলাম খুবই চালাক জমি কিনেছেন তার স্ত্রী ও শালা সমন্ধির নামেও। এ বিষয়ে রাকিবুল ইসলামের মোবাইলে ফোন দিয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার মা মারা গেছে।
কিছুদিন আগে অনেক সাংবাদিক আমাকে জালাইছে আপনি আবার কে। সাংবাদিক আপনাকে কেন জালাইছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার মা মারা গেছে আমি সেখানে যাচ্ছি। সূত্রে জানা গেছে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি রাকিবুল ইসলাম এর এত সম্পত্তির উৎস কোথায় জানতে চেয়ে দুর্নীতি দমন সংস্থা দুদক বরাবর অভিযোগ করেছেন। ৬৮ নং ওয়ার্ডের কয়েকজন সরকারি কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন আমাদের লজ্জা হয় আমরা সরকারি চাকরি করেছি এখনো ভাড়া থাকছি আরে মাস্টার রোলের কর্মচারী কিভাবে এত সম্পদ করল তা ভাবতেই অবাক হই। রাকিবুল ইসলাম এর বিষয় দুদক প্রয়োজনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশা এলাকাবাসীর।