
মোঃ হাবিবুল্লাহ:
পবিত্র ঈদুল আযহার আর মাত্র দুই দিন। ঈদে ঘরমুখো মানুষদের তেমন একটা চাপ দেখা মেলেনি সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে । শনিবার দুপুর ২টার দিকে এমনটাই দেখা যায়। তবে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শনিবার সকাল ১১টা পর্যন্ত চাপ ছিল। বিকেলের পর থেকে যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে বলে মনে করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্ট লোকজন।
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে জানাযায়, কুমিল্লা,চাঁদপুর,সিলেট,চট্রগ্রাম,বরিশাল,দিনাজপুরসহ সায়েদাবাদ বাসটার্মিনাল সংশ্লিষ্ট রুটে পর্যাপ্ত পরিমানে বাস রয়েছে। উল্লেখযোগ্য হারে নেই যাত্রী। পরিবহনের সুপার ভাইজারসহ লোকজন অনেকটা অলস সময় কাটাতে দেখা যায়।
এদিকে বাস টার্মিনালে যাত্রীর চাপ কম থাকলেও বাস কাউন্টার গুলোতে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। সায়েদাবাদ জনপদ মোর, গোলাপবাগ মোর, সায়েদাবাদ হুজুরের বাড়ির সামনে, যাত্রাবাড়ী মোর,দোলাইরপাড় মোর, পোস্তগোলা ব্রিজের উপর রয়েছে শতাধিক বাস কাউন্টার। এসব বাস কাউন্টারের সামনে শতাধিক বাস থামিয়ে যাত্রী ঊঠা নামা করেন। এ যেন আরেক বাস টার্মিনাল।
একাধিক বাসের মালিক অভিযোগ করে স্বাধীন সংবাদকে বলেন,আজকাল যাত্রীরা সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে আসতে হয়না। কারণ টার্মিনালে আসার পূবেই তাদের কাঙ্খিত বাস ও টিকেট মোরে মোরে বাস কাউন্টারে পেয়ে যান।
তারা আরো বলেন –সড়ক ও সেতু মন্ত্রী এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বলেছিলেন সড়কের পাশে কোন বাস কাউন্টার থাকতে পারবেনা। তাদের কথার সাথে কাজের কোন মিল নেই। ট্রাফিক পুলিশ,থানা পুলিশ ও রাজনৈতিক লোকজনকে ম্যানেজ করে সড়কের পাশে বাস কাউন্টার দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বাস থামিয়ে যাত্রী নিচ্ছেন। যারফলে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে কখনই যাত্রীর চাপ থাকেনা। আমরা লক্ষ লক্ষ টাকা লোন নিয়ে বাস নামিয়ে লোকসান গুনতে হচ্ছে।
তারা আরো বলেন- সড়কের পাশে বাস কাউন্টার এর কারণে একদিকে যেমন টার্মিনালে যাত্রীরা না যাওয়াতে বাস মালিকদের লোকসান হয়, অপরদিকে সড়কের পাশে বাস থামিয়ে রাখার কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
এদিকে ঢাকা-মাওয়া সড়কের যাত্রাবাড়ী মোর ঘুরে দেখাযায় বরিশাল,ভাঙ্গা,পটুয়াখালীসহ পদ্মাসেতু সংশ্লিষ্ট সড়কের যাত্রীদের উপচেপড়া ভীড়। যাত্রীদের কাছ থেকে বিআরটিএ’র নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত বেশি নিচ্ছে। যাত্রীরা প্রতিবাদ করলে তাদের সাথে র্দূব্যবহার করা হচ্ছে। বিআরটিএর লোকজন যাত্রীবাড়ী কাউন্টারে যাননি।
সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম যুগান্তরকে বলেন, শুক্রবার থেকে শনিবার সকাল ১১টা পর্যন্ত যাত্রীদের চাপ একটু বেশি ছিল। তার পর থেকে যাত্রীদের চাপ কমে গেছে। যাত্রীদের যেন কোন প্রকার দুর্ভোগ না হয় সেজন্য আমরা সচেষ্ট আছি।