ষ্টিল ব্রীজের নাটবল্টু খুলে গেছে,পাটতনের অবস্থা নাজুক ——————————————————————————— শৈলকুপার কুমার নদের উপর স্থাপিত গাড়াগঞ্জ -কুমারখালী সড়কের বারইপাড়া ব্রীজটি এখন মরণফাঁদ

মোঃ রুবেল, ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ-কুমারখালী সড়কের বারইপাড়ায় কুমার নদের উপর নির্মিত স্ট্রিলের ব্রীজটি এখন চরম ঝুকিপূর্ন। ব্রীজের বিভিন্ন অংশের নাটবল্টু খুলে গেছে। জং ধরে ছিদ্র হয়ে গেছে ব্রীজের পাটাতন। ভেঙে গেছে ব্রীজের নিচের লোহার পাত। পুরো ব্রীজের পাটাতন দেবে গেছে। পারাপারের অনুপযোগী হয়ে পড়লে উপায় না পেয়ে তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন এলাকার হাজারো মানুষ। এলাকাবাসি দ্রুত ব্রীজটি নির্মানের দাবী করেছেন।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে গাড়াগঞ্জ-কুমারখালী সড়কের কুমার নদের উপর ১১২ মিটার এই ব্রীজটি নির্মাণ করে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগ। পরবর্তীতে ব্রীজটি ঝিনাইদহ এলজিইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়। কুমার নদ নদী পারাপারের একমাত্র এই ষ্টিলের ব্রীজটি কয়েকবছর ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মাঝে মধ্যে মেরামত করা হলেও জং ধরে মরিচা পড়ে গেছে স্টিলের পাত, নাটবল্টু ও পাটতন। শৈলকুপার বারইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম জানান, স্ট্রীলের এই ব্রীজ দিয়ে গাড়াগঞ্জ থেকে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। কিন্তু ব্রীজের অনেক স্থানে জং ধরে ছিদ্র হয়ে গেছে। লোহার পাত ভেঙে যাওয়ায় যানবাহন চলার সময় দেবে যাচ্ছে। যেকোন সময় ভেঙে গেলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। একই গ্রামের নাদির শেখ ও আমিরুল ইসলাম জানান, ব্রীজের মাঝখানের পাত ভেঙ্গে গর্ত হওয়ার কারণে মানুষের হাত পা কেটে যাচ্ছে। সাইকেল আটকে গিয়ে মানুষ মুখ থুবড়ে পড়ছে। ওই সড়কে চলাচলাকারী করিমন চালক আলমগীর হোসেন জানান, আমরা তো ভয়ে ভয়ে ব্রীজটি পার হচ্ছি। মাঝখানে ব্রীজের নিচের লোহার পাত ভেঙে গেছে। কি হবে আল্লাহ পাকই জানেন। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মনোয়ার উদ্দিন বলেন, ব্রীজটি এলাকাবাসি জন্য খুবই গুরুত্বপুর্ণ। কিন্তু আপাতত নতুন কোন ব্রীজ নির্মানের কোন বরাদ্দ নেই। তবে চলাচলের উপযোগী করার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত স্টিলের ব্রীজটি মেরামত করছি। আগামীতেও এই মেরামত কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *