সাতগর বিটে পাহাড়ি সম্পদ উজাড় হয়ে যাচ্ছে রক্ষা করতে ডিপো, এসিএফের হস্তক্ষেপ কামনা

 

লোহাগাড়া প্রতিনিধি :

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার লোহাগাড়া উপজেলার সাতগর বিট এলাকা পাহাড়ি সম্পদে ও শস্যভাণ্ডারে পরিচিত চুনতী রেঞ্জের পাহাড়ি সম্পদ উজাড় হয়ে যাচ্ছে । কিন্তু উৎপাদন নির্ভর অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকা গুলোর বিভিন্ন পাহাড়ের মাটি ও গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে একটি অবৈধ সিন্ডিকেট তার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত রয়েছে সাতগর বিট কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম । সম্প্রতি পাহাড়ি সম্পদ রক্ষা করতে সাতগর বিট কর্মকর্তার কোন প্রকার ভুমিকা নেই বলেই চলে ।চুনতী ইউনিয়নের পাহাড়ি সম্পদে এবং খাস জাইগায় কোনো স্থাপনা না করতে উদ্যোগ নেওয়া দরকার বন বিভাগের। এছাড়া স্থাপনা নির্মাণ বন্ধসহ নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান চালানোর প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন সচেতন মহল । এখানে মোট আবাদি জমির অনুমানিক পরিমাণ ২ হাজার ৪শ হেক্টরেরও বেশি। প্রচলিত আছে,সরকার চাইলে এই ইউনিয়নে থেকে লক্ষ টাকার রাজস্ব আদায় করতে পারে।
সরেজমিনে দেখা যায়, এই এলাকার পাহাড়ি সম্পদ কেটে সম্প্রতি বাড়িঘর ও দোকানপাটসহ যত্রতত্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ সহ পাহাড়ি সম্পদ কেটে পাহাড় খেকোরা নিয়ে যাচ্ছে । এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পাহাড়ি সম্পদ। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। ভূমি ব্যবহার নীতিমালা–২০০১ এবং রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ত্ব আইন–১৯৫০ অনুযায়ী শ্রেণি পরিবর্তন করতে জেলা প্রশাসকের পূর্বানুমোদন প্রয়োজন।

চুনতী ও আজিজ নগরের পাহাড় কেটে নিয়ে যাচ্ছে আর অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদ অতিব প্রয়োজন । একইসাথে জাতীয় সম্পদ হিসেবে যেকোনো মূল্যে এই পাহাড়ি সম্পদ রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব। আর ফসলের আবাদ বাড়াতে স্থানীয় প্রশাসন ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের হস্তক্ষেপ অতিব জরুরি।

এই পাহাড়ি সম্পদ রক্ষায় বন বিভাগের কঠোর অবস্থান নেওয়া প্রয়োজনিয় জানিয়ে সচেতন মহল বলেন- উপজেলার মানুষ পাহাড়ি রক্ষার আন্দোলন হিসেবে দেখতে চায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *