
মোহাম্মদ জুবায়ের :
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মোহাম্মদ কামরুল হাসান ও তার স্ত্রী সায়মা বেগমের নামে থাকা ১১ কোটি ৩৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম জেবুননেছা এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক এমরান হোসেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, “অনুসন্ধান করে দুদক কামরুল হাসান ও তার স্ত্রীর নামে ১১ কোটি ৩৪ লাখ টাকার স্থাবর-অস্থাবর অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে। গত মাসে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ যাতে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হস্তান্তর করতে না পারেন, সেজন্য দুদকের পক্ষ থেকে সম্পত্তি ক্রোকের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। পরে আদালত তা মঞ্জুর করেন।”
দুদক সূত্র জানায়, পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হাসান ১৯৮৯ সালে উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদে পুলিশ বিভাগে যোগদান করেন। পরে পদোন্নতি পেয়ে তিনি হাটহাজারী বাঁশখালীসহ বিভিন্ন থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৩ সালে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার প্রসিকিউশন হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তাকে বদলি করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, মোহাম্মদ কামরুল হাসান চট্টগ্রাম আদালতের হাজতখানার আসামিদের জন্য সরকারি বরাদ্দের খাবার বিতরণ না করে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বিল উত্তোলন করে নিতেন। ১৫ অক্টোবর “আসামিদের খাবারের টাকা পুলিশের পকেটে” শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে দৈনিক পত্রিকার বিভিন্ন শিরোনাম । এরপর পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। কমিটি আসামিদের খাবারের টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পায়।
দুদকের সহকারী পরিচালক এমরান হোসেন জানান, কামরুল হাসানের নামে নগরের পাহাড়তলীতে বাড়ি ও খুলশী ডিআইজি অফিসের পাশে ২,৫৭০ বর্গফুটের কোটি টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এছাড়া অনন্যা আবাসিক এলাকায় প্লট আছে। ঢাকার সাভারে “সাভার সিটি সেন্টার” ও “সাভার সিটি টাওয়ার” নামে দুটি মার্কেটে মালিকানাও রয়েছে কামরুল হাসানের।