
মোহাম্মদ সাইদ (কেরানীগঞ্জ ঢাকা) :
বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। তাদের রক্তের বিনিময়ে দেশ আজ নতুনভাবে স্বাধীন হয়েছে।এই যে স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে তা শহীদের রক্তের বিনিময়ে। বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কেরানীগঞ্জের সাবেক এমপি মন্ত্রী ডাকসুর সাবেক ভিপি আলহাজ্ব আমান উল্লাহ আমান। সকালে কেরানীগঞ্জের ছোট ভাওয়াল গ্রামে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ শিক্ষার্থী রিয়াজের কবর জিয়ারত শেষে অনুষ্ঠিত এক স্বরণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন,শহীদের রক্ত আবু সাঈদের রক্ত কোন ভাবে বৃথা যাবে না। এই রিয়াজ, সাঈদ বুক পেতে দিয়েছে বাংলাদেশকে নতুন করে স্বাধীন করার জন্য। আমরা যে স্বাধীনতা অর্জন করেছি তা আমাদেরকে ধরে রাখতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে কোন দুষ্কৃতিকারী, কোন দুর্বৃত্ত আয়নের জন্য যেন এই স্বাধীনতা কোন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নস্যাৎ না হয়। শহীদ রিয়াজের ইচ্ছে ছিল জনগণের ভোটার অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। বাংলাদেশেকে নতুন করে স্বাধীন করা এবং যারা অবহেলিত নিপীড়িত, নিস্পিত তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।
আমরা আজকে শহীদ রিয়াজের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনে সারা দেশব্যাপী শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। তিনি আরো বলেন, রিয়াজের আত্মত্যাগের বিনিময় বাংলার ঘরে ঘরে জন্ম নিয়েছেন অসংখ্য রিয়াজ । তার স্মৃতি ধরে রাখার জন্য তিনি কেরানীগঞ্জের গাটাচর চত্বর শহীদ রিয়াজ হোসেন চত্বর হবে বলে ঘোষণা দেন।
এই চত্বরে মাধ্যমে শহীদ রিয়াজ আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনে শহীদ রিয়াজের কবর জিয়ারত করে কেরানীগঞ্জের তারানগর ছোট ভাওয়াল কবরস্থান ঈদগাহ ময়দানে তিনি এসব কথা বলেন।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার এরফান ইবনে অমি,কেরানীগঞ্জ মডেল থানা বিএনপি’র সভাপতি মনির হোসেন মিনু, সিনিয়র সহ-সভাপপতি হাজী শামীম হাসান, সহ- সভাপতি হাজী রুহুল আমিন,সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হাসমত উল্লাহ নবী, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা যুবদলের সভাপতি, হাজী আসাদুজ্জামান রিপনসহ সকল উনিয়নেক অংঙ্গসংগঠনের নেতৃবন্দসহ ।
পরে তিনি শহীদ রিয়াজের বাসায় উপস্থিত হয়ে পরিবারের সাথে কুশল বিনিময় করে। তাদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পরিবারের সদস্যদের নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।