
মোঃ ওয়াহিদ হোসেন:
খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের ১১৩৭ স্মারকের নির্দেশনার অলোকে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন জায়গায় ট্রাক সেলের আওতায় চাল ও আটা বিক্রি করা হয়। যাতে গরীব ও অসহায় মানুষ কম মূল্যে চাল ও আটা কিনতে পারে। কিন্তুু কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার কারণে এ সেবা থেকে বঞ্চিত গরীব মানুষগুলো। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রধান নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় ঢাকা রেশনিং ২৯৯ জুরাইন ঢাকা—১২০৪।
রাজনৈতিক পরিচয়ে ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সাবেক এমপি আওলাদের পিএস জাহাঙ্গীর খা হয়েছেন ডিলার। স্বেচ্ছাবেকলীগ নেতা শামীম রাজনৈতিক পরিচয়ে হয়েছেন ডিলার। টিপু সুলতান সাবেক এমপি আওলাদের ছত্রছায়ায় হয়েছেন ডিলার। এসব ডিলাররা পালিয়ে যাওয়া হাসিনা সরকারের ক্ষমতার দাপটে ঘায়েল করেছেন খাদ্য অধিদপ্তর। এক সময় সাবেক এমপির নাম ভাঙিয়ে এসব ডিলারা এ.আর.ও দের ভয়ভীতি দেখিয়ে বেশি সেল দেখিয়ে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি না করে সেন্ডিকেটের মাধ্যমে টনকে টন চাল—আটা পাইকারি বিক্রি করে রাতারাতি বনে গেছেন কোটিপতি। পালিয়ে যাওয়া হাসিনা সরকারের বেশিরভাগ নেতাই পালিয়ে গেলেও কালো টাকা দিয়ে রয়ে গেছেন এলাকায়। দেদাছে আগের মতোই চুরি করছে ওএমএসের চাল। এ বিষয়ে ডিলার জাহাঙ্গাীর খা
, শামীম ও টিপু সুলতানদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা করলে ফোন বন্ধ করে দেন। নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক সাধারণ ডিলার বলেন, কতিপয় ডিলার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অধিপাত্য বিস্তার করেছিল খাদ্য অধিদপ্তরে।
এ বিষয়ে অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা কালে নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, যেহেতু সরকারী চাকরী করি একটু ভয় তো থাকবেই যা আপনারাও জানেন। গতকাল জাহাঙ্গীর খার ঢাকা ম্যাচ ফ্যাক্টরী (বাটচর স্কুল গেইট) কদমতলী তে ট্রাক সেল চলছিল। আনুমানিক ২টার সময় ওএমএস এর চাল—ডাল বিক্রি না করে ডিলার জাহাঙ্গীর খা ট্রাক ভর্তি চাল—ডাল নিয়ে চলে আসেন। এ সময় আমাদের প্রতিনিধি ছিল সেল বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত। এ সেল তদারককারী সামছুল আলম পাচঁ মিনিটের মত ট্রাকের সামনে দুই হাজার টাকা ঘুষের বিনিময়ে ঐ জায়গা থেকে চলে আসেন। এ বিষয়ে সামছুল আলম বলেন, আমার আরও অনেক জায়গায় দতারক ছিল। যার কারণে আমি ঐখানে পাচঁ মিনিটের বেশি থাকতে পারি নাই। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ভোক্তভোগিরা।