ঢাকা রেশনিং খাদ্য অধিদপ্তরের নিরাপত্তা প্রহরী আনোয়ারের দাপট  এ.আর.ওদের নামে প্রতি সেলে ৩০০০টাকা করে তোলার অভিযোগ

 মোঃ ওয়াহিদ হোসেন:

 

খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের ১১৩৭ স্মারকের নির্দেশনার অলোকে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন জায়গায় ট্রাক সেলের আওতায় চাল ও আটা বিক্রি  করা হয়। যাতে গরীব ও অসহায় মানুষ কম মূল্যে চাল ও আটা কিনতে পারে। কিন্তুু কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার কারণে এ সেবা থেকে বঞ্চিত গরীব মানুষগুলো। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রধান নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় ঢাকা রেশনিং ২৯৯ জুরাইন ঢাকা—১২০৪ এর অফিসে পদে পদে টেবিলে টেবিলে চলে দুর্নীতি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ডিলার দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, প্রতি কেজিতে কমিশন দেয়া হয় দুই টাকা। অথচ প্রতি কেজিতে খরচ হয় তিন টাকা। চুরি না করে কি করবো।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ডিলার বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের পিওন থেকে শুরু করে সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের দিতে হয় ঘুষ।

এ ধরুণ খাদ্য অধিদপ্তরের নিরাপত্তা প্রহরী আনোয়ারের দাপটে কাজ করাই মুস্কিল। নিরাপত্তা প্রহরী হয়েও করেন অফিসের সমস্ত কাজ কর্ম। সেল রিসিট লেখেন এই নিরাপত্তা প্রহরী আনোয়ার। এজন্য প্রতি সেল রিসিটে তাকে দিতে হয় দুইশ টাকা। মাঝে মাঝে অসাধু ডিলারদের কাছ থেকে পাচঁশ থেকে এক হাজার টাকা বেশি নিয়ে বেশি সেল দেয়। আনোয়ার নিয়ন্ত্রণ করেন ১—৩ এ.আর.ও দের। প্রতি সেলে এ.আর.ওদের নামে অতিরিক্ত ৩হাজার থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত নেন। এ বিষয়ে এ.আর.ও ডি—১ শহিদুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিরাপত্ত প্রহরী মাঝে মাঝে সেল রিসিট লিখেন এবং হাফিজ কে সহায়তা করেন। এ.আর.ও ডি—২ নাইয়া রানু তিনিও অস্বিকার করেন।

এ বিষয়ে জানার জন্য এ.আর.ও ডি—৩ মোহাম্মদ মামুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোনো কথা বলবেন না বলে জানান। এ বিষয়ে অভিযুক্ত কারী টাঙ্গাইল জেলার বাসিন্দা নিরাপত্তা প্রহরী আনোয়ার হোসেনের জন্মস্থান টাঙ্গাইল সহ ঢাকায় রয়েছে জমি ও ফ্ল্যাট। যা তিনি ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে আয় করেছেন। এ বিষয়ে আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি মাঝে মাঝে স্যারদের সহায়তা করি। কোনো অন্যায় অনিয়ম করি না। ডিলাররা অভিযোগ করে বলেন, নিরাপত্তা প্রহরী আনোয়ার ক্ষমতা দেখান উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *