
মোঃ ইসলাম উদ্দিন তালুকদার :
সদস্য উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ এর হস্তক্ষেপ কামনায় ভুক্তভোগীরা
— সরকারি সেবামূলক ৫২ টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ( রাজউক ) খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। আর এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কামরুজ্জান কর্তৃক গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সূত্রে, তিনি মহামান্য সুপ্রিম / হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করা, অভিযানকালীন সময় গ্রাহকদের সাথে খারাপ ব্যবহার করা ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মিটার জব্দ করা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিযোগকারীগণ জানান, আমাদের নাম প্রকাশ করলে আমাদের আরও ক্ষতি হবে। অভিযোগকারীগণ আরও জানান গত ৩০শে জুন রাজধানীর কেএম অভয় দাশ লেন, মোবাইল কোর্ট বা উচ্ছেদ অভিযান চলাকালীন সময় মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট / হাইকোর্টের আদেশের কোনো প্রকার তোয়াক্কা না করে নিজের ইচ্ছেমত পরিচালনা করেন ও আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন ( কোনো কিছু বলার সুযোগ দেন না ), বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মিটার জব্দ করে নিয়ে এসে আমাদের হয়রানিরসহ অনেক কষ্টের মধ্যে ফেলেন।
তারা আরো জানান, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাজউকের বিধিবিধানের তোয়াক্কা না করে যাকে খুশি তাকে মিটার দিচ্ছেন আবার কিছু ক্ষেত্রে উক্ত জোনের অথরাইজড অফিসারের নিকট পাঠাছেন মতামত গ্রহণের জন্য, আর এই ভাবেই আমরা দিন পর দিন, মাসের পর মাস ও বছরের পর বছর হয়রানির শিকার হয়ে থাকি। কিন্তু আমরা উধ্বর্তন কতৃর্পক্ষের শরণাপন্ন হয়েও কোনো সমাধান পাইনি কারণ তিনি কারোর কথা শুনেন না। এই বিষয়ে নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একাধিক রাজউকের কর্মকর্তা— কর্মচারী জানান, বতর্মান সময়ে যারা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করছেন তাদের বেশি ভাগই অন্য বিষয়ে পড়াশুনা করেছেন অথ্যাৎ তারা প্রকৃতপক্ষে ম্যাজিস্ট্রেট নন। আবার তারা অতিরিক্ত দায়িত্ব আছেন তাই বলা যায় যে, রাজউকের আইন — কানুন ও বিধিবিধান সম্পর্কে তেমন পারদশি নন।
তাহারা আরো জানান, যেহেতু বতর্মান সময়ে দায়িত্ব থাকা বেশি ভাগই বাহিরে থেকে আসা অথ্যাৎ তারা রাজউকের নিজস্ব লোক নয় তাই রাজউকের লোকদের সাথে কাজের ক্ষেত্রে সমন্বয়ে অভাব থেকে যায়। যার কারণে ম্যাজিস্ট্রেট অনেক সময় অথরাইজড অফিসারের উপর দায় চাপিয়ে নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে যান। আর যার কারণে হয়রানি কবলে পড়েন গ্রাহক ও বদনামের কবলে পড়ে রাজউক। এই সকল হয়রানির বিষয়ে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে যাতে রাজউকের মান ও গ্রাহকদের হয়রানির থেকে মুক্ত হয়। অভিযোগগুলোর বিষয়ে অনুসন্ধানে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেটকে ফোনে করলে তিনি জানান, এ বিষয়ে উক্ত জোনে অথরাইজড অফিসারের সাথে কথা বলার জন্য বলেন। এ জোনে অথরাইজড অফিসার হাসানুজ্জামান এর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা করা হয়েছে আইন অনুযায়ী করা হয়েছে। বিষয়টি রাজধানী উন্নয়ন কতৃর্পক্ষ এর চেয়ারম্যান মহাদোয়ের সু—দৃষ্টি কামনা করেছেন রাজধানীবাসী।