
স্বাধীন সংবাদ ডেস্ক:
বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছয়টি হত্যাসহ ১১ মামলার আসামি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা ধরা পড়েছেন। রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ রোববার রাত ৯টার দিকে লক্ষ্মীপুর এলাকায় আত্মীয়ের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে।
সোমবার বিকালে বগুড়া সদর থানায় এনে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে ওসি এসএম মঈনুদ্দীন জানান।
পুলিশ ও অন্যান্য সূত্র জানায়, বগুড়া জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সজীব সাহা সদর উপজেলার মানিকচক গ্রামের মুকুল সাহার ছেলে। গত ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর সজীব সাহাকে সভাপতি ও আল মাহিদুল ইসলাম জয়কে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা ছাত্রলীগের ৩০ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর আর পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি।
গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সদর থানা, সদর ভূমি অফিসসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এ সময় পুলিশের গুলিতে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী নিহত হন।
এসব ব্যাপারে হতাহতদের পরিবারের মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্য, কয়েকজন মন্ত্রী, এমপি, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বগুড়া জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সজীব সাহা ও আওয়ামী লীগ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি হত্যা এবং অন্যান্য ধারায় মামলা করানো হয়। এর মধ্যে সদর থানায় ছয়টি হত্যা ও পাঁচটি অন্যান্য ধারায় মামলায় সজীব সাহাকে আসামি করা হয়েছে। ৫ আগস্টের পর তিনি বগুড়া থেকে পালিয়ে যান।
রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ রোববার রাত ৯টার দিকে গোপনে খবর পেয়ে লক্ষ্মীপুর এলাকায় আত্মীয়ের বাসা থেকে সজীব সাহাকে গ্রেফতার করে। সোমবার সকালে তাকে বগুড়ার থানায় আনা হয়।
বগুড়া সদর থানার ওসি এসএম মঈনুদ্দীন জানান, ছয়টি হত্যাসহ ১১ মামলার আসামি জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সজীব সাহাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। মামলার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরবর্তীতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।