ঢাকা রেশনিং ভোক্তাদের কাছে বিক্রি না করে চুরি করে বেশি দামে পাইকারি বিক্রি করার অবিযোগ উঠেছে: ডিলার শাহাদাত শেখ ও রাসেল শিকদারের

স্বাধীন সংবাদ ডেস্ক:

 

গতকাল ডিলার শাহাদাত এর বিক্রি ছিল বডুয়া বাজার এবং রাসেল শিকদার এর বিক্রয় স্থান ছিল কুরিলদ বিশ্ব রোড খীলখেত তদারককারি কর্মকর্তা ছিল কাজী বদরুজ্জামান ও কমলা রানী দাস। বিক্রি করার সময় তদারককারি কর্মকর্তাকে বিক্রয় স্থানে দেখা যায়নি। অবিযোগ রয়েছে সকালে গাড়িতে পূর্ণ মাল ছিল না। অর্ধেক মাল আগেই সড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। তারপরও চুরি করার অবিযোগ রয়েছে। গতকাল দুপুরের মধ্যেই বিক্রয় স্থান থেকে চলে যায় রাসেল শিকদার।

এ বিষয় ডিলার রাসেল শিকদারকে ফোন দিয়ে ভোক্তাদের কাছে মাল বিক্রি না করে চলে যাওয়ার বিষয় জানতে চাইলে ডিলার রাসেল শিকদার বলেন আমি ডিলার ঠিকি আছি কিন্তু বর্তমানে আমি ডিলারসিপ চালাই না। আমার ডিলার শিপ চালায় আমার পরিচিত শাহাদাত শেখ। এই ডিলার শাহাদতের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অবিযোগ। ডিলার শাহাদতের কর্মচারিরা সবসময় গরিব ভোক্তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করার অবিযোগ রয়েছে। এ বিষয় একাদিক ভোক্তভোগী বলেন বেশিরবাগ ডিলার দেওয়া হয়েছে পালিয়ে যাওয়া হাসিনা সরকারের আমলে। যার কারণে ভোক্তাদের কাছে কম দামে মাল বিক্রি না করে চুরি করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পাইকারি বাজারে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। আছিয়া নামের এক ভোক্তভোগী বলেন আজ চাল এবং আটা কিনতে গিয়েছিলাম কিন্তু বিক্রয়কারীরা আমার সাথে খারাপ আচরন করেছেন।

বিক্রয়কারীরা বলেন এত দেরি করে কেনো এসেছেন। এ বিষয় আজ ৫:২০ মিনিটের সময় তদারককারী বদরুজ্জামান এর কাছে ডিলার শাহাদাত এর কতো মাল অবিক্রিত রয়েছে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন ২৬ বস্তা আটা অবিক্রিত রয়েছে। কিন্তু সাংবাদিকরা বলেন ওখানে তো আরো মাল আছে। তখন তিনি বলেন আমি ট্রাক এর সামনে নেই সামনে গিয়ে জানাই। চোর কি কখনো সত্য কথা বলে? তদারককারী কর্মকর্তা যদি সামনে থাকত তাহলে চুরি করা কঠিন হতো। এ বিষয় তদারককারীদের বক্তব্য হলো তাদের তিন থেকে চার জন ডিলারের দেখাশুনার দায়িত্ত পরে যার কারণে সঠিক সময় ডিলারদের ট্রাকসেলের সামনে যাওয়া না। বাধ্য হয়ে ডিলারদের কথা বিশ্বাস করতে হয় এবং তাদের কথামতে্া স্টোক আছে কিংবা নাই লিখতে হয়। এ বিষয় নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাদিক ডিলার বলেন যদি সঠিক ভাবে বিক্রি হয় এক একজন ডিলারের প্রতি দুই দিনে লস হবে ৪ হাজার টাকা। যেমন ট্র্াক ভাড়া দুই দিনে ৫ হাজার টাকা। ২জন বিক্রয় প্রতিনিধী দুই দিনে ২ হাজার ৪০০ টাকা। তদারককারী কর্মকর্তা ঘুষ দুই দিনে ৪ হাজার টাকা। এ আরও ঘুষ দুই ৩ হাজার টাকা। ট্রাক আনলোড লেবার খরচ ৯০০ টাকা। এবং সরকারি ঘুষ ৬০০ টাকা। সর্বোমোট ঘুষবাবদ ১৯হাজার ৯০০ টাকা ।

অথচ সরকারি কমিশন দুই টাকা তাহলে কমিশন বাবদ পাওয়া যায় ১২ হাজার টাকা। অথচ ঘুষ সহ ডিলালের খরচ ১৯ হাজার ৯০০ টাকা সুতরাং চুরি করা লাগবেই। যার কারণে অনেক ডিলার তাদের ডিলারু শিপ ভাড়া দিতে বাধ্য হয় । ডি ৯ এর ডিলার রাসেল শিকদার তার ডিলার শিপ ভাড়া দিয়েছেন । ডি ৯ এর আরেকজন ডিলার শাহাদাতের কাছে। এ বিষয় তদারককারী বদরুজ্জামান বলেন ডিলার ভাড়া দেওয়ার নিয়ম নেই। ডিলারকে অবশ্যই বিক্রয় সেলের সামনে অবশ্যই থাকতে হবে। ডিলার রাসেল শিকদার এর তদারককারী কমলা রানী দাসকে কয়েকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি । এ বিষয় ডি ৯ এর এ আর ও লিনা আহমেদ এর কাছে কয়েকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি। ডি ৯ এর ডিলার শাহাদাত ও রাসেল শিকদারের বিষয় সঠিক তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থ অনুরোধ ভোক্তভোগীদের উদ্বদন কর্মকর্তাদের কাছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *