
স্বাধীন সংবাদ ডেস্ক:
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ঘোষণা করেছে, আলোন ব্রিগেডের ব্যাটালিয়নের সার্জেন্ট মেজর (রিজার্ভ) রনি গানিজাত লেবাননের দক্ষিণে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে ইসরাইলি সেনাবাহিনী এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
তারা জানিয়েছে, একই ঘটনায় ব্যাটালিয়নের অন্য এক রিজার্ভ সেনা গুরুতর আহত হয়েছেন এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গানিজাত লেবাননে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে চলমান স্থল অভিযানের সময় নিহত ১২তম ইসরাইলি সেনা। গত ২৩ সেপ্টেম্বর ইসরাইল দক্ষিণ লেবানন থেকে হিজবুল্লাহকে নির্মূল করার লক্ষ্যে স্থল অভিযান শুরু করে।
বৃহস্পতিবার সকালে আইডিএফ আরও জানায়, তাদের বিমানবাহিনীর যোদ্ধা দক্ষিণ লেবাননে দুটি হিজবুল্লাহ কমান্ডারকে হত্যা করেছে।
এর আগে বুধবার ইসরাইলের হাইফাসহ আশপাশের এলাকায় বৃষ্টির মতো রকেট হামলা চালায় হিজবুল্লাহ। ইসরাইলের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম অধিকাংশ রকেট প্রতিহত করলেও বেশ কয়েকটি জায়গায় আগুন লাগে। এতে প্রাণহানির পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় আবাসিক ভবন। হতাহতদের উদ্ধারে ছুটে আসে ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনী। দীর্ঘ সময় ধরে চলে উদ্ধার কাজ। বিভিন্ন জায়গায় দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে আগুন।
হিজবুল্লাহর অব্যাহত হামলার জেরে রীতিমতো হিশেহারা হয়ে পড়েছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। লেবানন সীমান্ত এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি হাইফা এলাকায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। হিজবুল্লাহর হামলার কারণে নিজেদের জীবন নিয়ে শঙ্কিত সাধারণ ইসরাইলিরাও।
এক ইসরাইলি নাগরিক বলেন, আমরা বাগানে শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছি। কারণ হাইফায় কোনো স্কুল খোলা নেই। শিশুদের সুরক্ষা এখন মূল বিষয়। আমাদের শত্রুদের রকেট হামলা চালানো বন্ধ করা উচিত। হিজবুল্লাহ আমাদের সঙ্গে যেটা করছে ইরানও সেই একই কাজ করেছে। এটা জঘন্য অপরাধ।
ওই নাগরিক আরও বলেন, বুঝতে পারছি না, মাঝে মাঝে ইসরাইলে কঠিন মুহূর্ত চলে আসে। তবে আমি বিশ্বাস করি, ইসরাইল সেই সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে। ভালো একটা সমাধান হবে। শান্তি ফিরে আসবে। সবাই একসঙ্গে বাঁচতে পারবে।