স্বাধীন সংবাদ ডেস্ক:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের বিরুদ্ধে ছাত্র রাজনীতির একাংশের দায় চাপানোর চেষ্টাকে “অযৌক্তিক ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
বুধবার (১৪ মে) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক দীর্ঘ বিবৃতিতে সারজিস আলম বলেন—
“ঘটনা ঘটেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের উপর দোষ চাপানো হচ্ছে কেন?”
তিনি বলেন,
“সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাদক সেবন, হেনস্তা, চাঁদাবাজি ইত্যাদি চলে দীর্ঘদিন ধরেই। এসব কার্যকলাপের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নয়, বরং রাজনৈতিক ক্ষমতার ছায়ায় বেড়ে ওঠা কিছু সংগঠন ও তাদের সিন্ডিকেট জড়িত।”
সারজিস আলম অভিযোগ করে বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও টিএসসিকে ঘিরে গড়ে ওঠা শত শত ভাসমান দোকান, অবৈধ স্থাপনা এবং বহিরাগতদের আনাগোনাই এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করেছে।
তিনি আরো বলেন,
“যখন প্রশাসন এসব দোকান উচ্ছেদে যায়, তখন একদল সুবিধাভোগী তথাকথিত সুশীল ও চেতনাবাজ ছাত্র-শিক্ষক বাধা দেয়। তারা ক্যাম্পাসের ব্যবসায়িক স্বার্থ ও চাঁদাবাজির রাজনীতিকে ঢেকে রাখতে চায়।”
তিনি স্পষ্টভাবে বলেন,
“এই ক্যাম্পাস চা, সিগারেট বা আড্ডার জায়গা নয়। এটা শিক্ষার জায়গা। এখানে প্রতিদিন হাজারো বহিরাগত এসে পরিবেশ নষ্ট করে, আর আমরা নির্বিকার থেকে ভিসি-প্রক্টরকে দোষ দিই।”
তিনি দাবি করেন,
-
টিএসসি এবং দোয়েল চত্বর এলাকায় থাকা শতাধিক ভাসমান দোকান অবৈধভাবে বসানো হয়েছে।
-
এই দোকানগুলো থেকে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় হয়, যার সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতারা জড়িত।
-
এসব কার্যক্রমই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে এবং অপরাধের পথ তৈরি করে।
সবশেষে তিনি বলেন,
“আমরা সাম্য হত্যার ন্যায্য বিচার চাই। কিন্তু বিচারের নামে প্রশাসনের ওপর দোষ চাপিয়ে মূল অপরাধীদের আড়াল করা যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে সকল বহিরাগত, ভাসমান দোকান, মাদকের সিন্ডিকেট উচ্ছেদ করতে হবে। অন্যথায় সাম্যের মতো ঘটনা আবার ঘটবে, এবং আমরা আরেকজন ভাইকে হারাব।”