আওয়ামীলীগের কুখ্যাত সন্ত্রাসী ভূমি দস্যু বহু অপরাধে অপরাধী জাভেদ উদ্দিনের আমলনামা

স্টাফ রিপোর্টার:

গাজীপুরে ডিবি হারুন এসপি থাকাকালীন সময়ে শেখ মোঃ জাভেদ উদ্দিন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য পদ লাভ করেন। এই সদস্যপদের জন্য এসপি হারুনকে মোটা অংকের অর্থ ও শেখ মোঃ জাভেদ উদ্দিনের দখলকৃত গাজীপুরের কিছু জমির বিনিময়ে ঘুষের মাধ্যমে এ পদ হাতিয়ে নেন। এই সময়ে তিনি গাজীপুরের বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের সদস্য পদ গ্রহণের ছবি পোস্টার ও বিশাল ব্যানারের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালান। এই সময়ে তিনি গাজীপুরে নিরীহ লোকের সম্পত্তি জালিয়াতির মাধ্যমে ও জোর-জবরদস্তির মাধ্যমে দখল করেন। তিনি কখনো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এইসব অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত হন।

শেখ মোঃ জাভেদ উদ্দিন পরবর্তীতে ডিসি হারুন ওয়ারী জোনে থাকাকালীন সময়ে বংশাল থানায় ভূমি দস্যু ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড শুরু করেন। তার এই কর্মকাণ্ডের সাথে বংশাল থানার ছাত্রলীগ নেতা শুভ যোগ দেন। তিনি ছাত্রলীগ নেতা শুভর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ভূমি দখল, নিরীহ মানুষের উপর জুলুম নির্যাতনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ত্রাস সৃষ্টি করেন।

ফ্যাসিবাদী হাসিনার দীর্ঘ ১৬ বছরের দুঃশাসন চলাকালীন সময় শেখ মোঃ জাভেদ উদ্দিনের ডানহাত হিসেবে বংশাল থানার ছাত্রলীগ নেতা শুভ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। মূলত শেখ মোঃ জাভেদ উদ্দিন ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা শুভর গডফাদার। এমনকি শেখ মোঃ জাভেদ উদ্দিনের হুকুমেই ছাত্রলীগের নেতা শুভ বহু খুনসহ বিভিন্ন নিরীহ মানুষের জমি দখল করে বংশাল থানায় তাদের ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন।

এখানে উল্লেখ্য যে, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ার পর শেখ মোঃ জাভেদ উদ্দিনের নির্দেশে গত ১৫ই মে ২০২৫ ইং সালে ছাত্রলীগ নেতা শুভ গুলিস্তানে একটি বাসে আগুন দেয়। এই সময় বাসে থাকা ৩ জন আহত হন, পরবর্তীতে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১ জন মারা যান। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ৩/৪ জনকে গ্রেফতার করেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় বংশাল থানার ছাত্রলীগ নেতা শুভর নাম উঠে আসে। এই মামলাটি বর্তমানে বংশাল থানায় তদন্ত কর্মকর্তার নিকট তদন্তাধীন রয়েছে।

ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় শেখ মোঃ জাভেদ উদ্দিনের নির্দেশে ছাত্রলীগের নেতা শুভ বংশাল থানায় বিরোধী দলের উপর দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি-সোটা দিয়ে বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালাত।

সর্বশেষ ৫ই আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগের নেতা শুভ ও সাঈদ খোকনের চাচাতো ভাই সাজেদ বেপারীর গুন্ডা বাহিনী নিরীহ ছাত্র জনতার উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়, বহু ছাত্র জনতা আহত হন এবং কিছু নিরীহ ছাত্র জনতা নিহত হন।

এই কাজে শেখ মোঃ জাভেদ উদ্দিন অর্থ ও লোকবল দিয়ে সাহায্য-সহযোগিতা করেন।

বংশাল থানার ছাত্রলীগ নেতা কুখ্যাত সন্ত্রাসী শুভ ও শেখ মোঃ জাভেদ উদ্দিনের অপরাধ জগতের এমন একটি সম্পর্ক যেন একজন অপরজনের পরিপূরক। এই দুজনের সম্মিলিত সন্ত্রাসী কার্যকলাপে বংশাল থানার সাধারণ জনগণ আতঙ্কিত ও ভীতসন্ত্রস্ত থাকত।

ভূমি দখলের কিছু উদাহরণ:
১। জাবিন টাওয়ার – ২৩৪/২৩৫ (বর্তমানে তার অফিস)
২। জমির বয়লার – ৫২/৫৩, নবাবপুর
৩। জান্নাত প্লাজা – ৫০, নবেন্দ্র বসাক লেন
৪। চাঁন টাওয়ার – মানসী হল
৫। রহিম প্লাজা – ৯৫, নবাবপুর রোড

ভূমি দস্যু শেখ মোঃ জাভেদ উদ্দিন ও তার সহযোগী ছাত্রলীগ নেতা শুভ এই মার্কেটসমূহ দখল করে দোকানগুলো একাধিক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে শত শত কোটি টাকার মালিক হন।

ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার আমলে আওয়ামী লীগের বড় বড় প্রভাবশালী নেতাদের সাথে তার সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং মোটা অংকের টাকার ভাগও তারা পেতেন।

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার মামাতো ভাই তোবা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি মান্নাফী, ডিবি হারুন, সাঈদ খোকনের চাচাতো ভাই সাজেদ বেপারীদের ছায়ায় শেখ মোঃ জাভেদ উদ্দিন ও ছাত্রলীগ নেতা শুভ ভূমি দস্যুতা ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যান, যা এখনো চলমান।

বর্তমানে বহুরূপী শেখ মোঃ জাভেদ উদ্দিন বংশাল থানায় নিজ অফিসে ও বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির নেতাদের সাথে ছবি, ব্যানার লাগিয়ে নিজেকে জাতীয়তাবাদী দলের ত্যাগী ও আদর্শবান নেতা হিসাবে জাহির করার চেষ্টা করছেন, যাতে করে পুনরায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে পারেন।

এইরূপ কর্মকাণ্ডে বংশাল থানার সাধারণ জনগণের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বিএনপির মূল দল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন নেতারা তাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন এবং মতামত দিয়েছেন:

  • একজন প্রভাবশালী নেতা বলেন, “শেখ মোঃ জাভেদ উদ্দিন নবাবপুর সমিতির কাছে একজন ঘৃণিত ব্যক্তি। তিনি সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছেন।”

  • যুবদলের আরেক নেতা বলেন, “এই অপরাধীর জাতীয়তাবাদী দলে প্রবেশ রোধে হাই কমান্ডের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।”

বংশাল থানার সাধারণ জনগণ আওয়ামী লীগের দালাল, ভূমি দস্যু, কুখ্যাত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ভণ্ড ও প্রতারক শেখ মোঃ জাভেদ উদ্দিন এবং ছাত্রলীগ নেতা শুভর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে বিচার প্রার্থনা করছে।

প্রচারে:
বিএনপির বংশাল থানা মূল দল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও এলাকাবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *