লিমা ইসলাম:
স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী এবং তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে গাজীপুর মহানগর বিএনপির উদ্যোগে ভাওয়াল রাজবাড়ী মাঠে এক বিশাল গণদোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। হাজারো মানুষ এতে অংশ নিয়ে দেশনেত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন গাজীপুর-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম. মনজুরুল করিম রনি, মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকার, সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা হাসান উদ্দিন সরকার এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের গাজীপুর-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মুহাম্মদ হোসেন আলী।
দোয়া পরিচালনা করেন গাজীপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি কামরুজ্জামান নোমানী।
মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. মাজহারুল আলম, অ্যাডভোকেট শহীদুজ্জামান, অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান এলিস, আহমদ আলী রুশদি, হাসান আজমল ভূইয়া, হান্নান মিয়া হান্নু,
অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান, সুরুজ আহমেদ, জয়নাল আবেদীন তালুকদার, সাইফুল ইসলাম টুটুল, হাসিবুর রহমান মুন্না, মনিরুজ্জামান মনির, অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন, আতাউর রহমান, খান জাহিদুল ইসলাম নিপু, শাহাদাত হোসেন শাহিন, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন, সাংবাদিক মাজহারুল ইসলাম কাঞ্চন, মাহমুদ হাসান রাজু, নাজমুল খন্দকার সুমন, বেলায়েত হোসেন, রোহানুজ্জামান শুক্কুর, আসলা মিয়াসহ বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
বক্তারা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে ২০২৬ সাল পর্যন্ত শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বাংলাদেশের গণতন্ত্র, রাষ্ট্রগঠন, আন্দোলন-সংগ্রাম ও গণতন্ত্র রক্ষায় অসামান্য অবদান তুলে ধরেন। তারা বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও টিকিয়ে রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বক্তারা জানান, সারাদেশে দল-মত নির্বিশেষে সব শ্রেণিপেশার মানুষ বেগম জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া করছেন। দেশ-বিদেশের মানবাধিকারকর্মী ও রাষ্ট্রপ্রধানরাও তার আরোগ্য কামনায় প্রার্থনা জানিয়েছেন।
তারা আরও বলেন, বেগম জিয়া প্রকৃত দেশপ্রেমিক নেত্রী—যার জন্য দেশবাসী দুই হাত তুলে দোয়া করছে। অনেকেই তার সুস্থতার জন্য নফল রোজা রাখছেন, নামাজ আদায় করছেন, মসজিদ-মন্দির-গির্জায় প্রার্থনা করছেন। বক্তারা বলেন, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেও বেগম খালেদা জিয়াকে দেশের অন্যতম সম্মানিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
বক্তারা স্মরণ করেন, শহীদ জিয়াউর রহমান ছিলেন প্রকৃত দেশপ্রেমিক নেতা, যার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বেগম খালেদা জিয়া দেশের জন্য আজীবন কাজ করেছেন এবং জনগণ তাকে তিনবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছে।
এম. মনজুরুল করিম রনি বলেন, “স্বৈরশাসনের সময়ে বেগম খালেদা জিয়ার ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছিল। তাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়, বাসার বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানির সংযোগ কেটে দেওয়া হয়, মিথ্যা মামলায় কারারুদ্ধ করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়। কিন্তু তবুও তিনি বলেছিলেন—‘এই দেশ, এই দেশের মানুষ, এই মাটিই আমার সব; আমি জন্মভূমি কখনো ছেড়ে যাব না।’”
গণদোয়া চলাকালে ভাওয়াল রাজবাড়ী মাঠ জনসমুদ্রে পরিণত হয় এবং এক পর্যায়ে হাজারো মানুষের কণ্ঠে “আল্লাহুম্মা আমিন” ধ্বনিতে চারদিক মুখরিত হয়ে ওঠে।