ফতুল্লায় অপরাধ কর্মকান্ডে ড্রোন ব্যবহারের অভিযোগ কিলার বাবুর বিরুদ্ধে
প্রতিবেদক- ব্যুরো চিফ মোহাম্মদ হোসেন হ্যাপী
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পেশাদার ছিনতাইকারী বাবু ওরফে কিলার বাবুর নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ একটি ছিনতাই চক্র ড্রোন ব্যবহার করে নতুন কৌশলে অপরাধ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসী জানায়, চক্রটি প্রথমে ড্রোন উড়িয়ে আশপাশে পুলিশি টহল বা সন্দেহজনক অবস্থান আছে কিনা তা নিশ্চিত হয়। পরিস্থিতি ‘নিরাপদ’ মনে হলে তারা রাস্তায় নেমে ছিনতাই সংঘটিত সটকে পরে। চক্রটির এই নতুন কৌশলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বাড়ছে উদ্বেগ ও আতঙ্ক।
তথ্য মতে, ফতুল্লার ছাত্রলীগ ক্যাডার ৫ টি হত্যা সহ একাধিক বৈষম্যবিরোধী মামলার আসামী বাবু ওরফে কিলার বাবু প্রতি রাতেই বিসিক নতুন সড়কে অবস্থিত একটি গার্মেন্টেসের ছাদে অবস্থান করে ড্রোন উড়িয়ে পুলিশের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে সময় সুযোগ বুঝে একাধিক দলে বিভিক্ত হয়ে ঢাকা-নারায়নগঞ্জ পুরাতন সড়কের পঞ্চবটী বাস স্ট্যান্ড মোড় থেকে পুলিশ লাইন লোহার মার্কেট পর্যন্ত ছিনতাই করে নিরাপদে পালিয়ে যায়।
ঢাকা-নারায়নগঞ্জ পুরাতন সড়কের পঞ্চবটী বাস স্ট্যান্ড, বিসিক নতুন রাস্তা, পাচতলা, কলোনী, লোহার মার্কেট এবং পুলিশ লাইন এলাকায় সম্প্রতি এ ধরনের ড্রোন দেখার ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় বাসিন্দারা। কয়েকজন পথচারী জানিয়েছেন, ড্রোন দেখার কিছুক্ষণ পরই একাধিক মোটরসাইকেল আরোহী এসে মোবাইল, টাকা-পয়সা এবং মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কয়েকটি স্থানে অজানা ড্রোন উড়তে দেখা যায়। ড্রোনটি প্রথমে এলাকার আশপাশে পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি আছে কিনা, রাস্তায় মানুষের চলাচল কেমন-সে বিষয়ে পর্যবেক্ষণ চালায়। পরিস্থিতি ‘ঝুঁকিমুক্ত’ মনে হলেই কিছুক্ষণ পরেই একই এলাকায় ছিনতাই সংঘটিত হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী আকাশে একটি ড্রোন উড়তে দেখতে পেয়ে তারা আতংকিত হয়ে পরে। এক পর্যায়ে তারা সংঘটিত হয়ে ড্রোনের উৎস খুঁজতে গিয়ে দেখতে পায় যে বিসিক নতুন রাস্তার এস,কে টাওয়ারের উপর থেকে শির্ষ যুবলীগ ক্যাডার বাবু ওরফে কিলার বাবু ড্রোন উড়িয়ে সেখানে অবস্থান করছে।
এমন সংবাদ পেয়ে সংঘবদ্ধ ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী এস,কে টাওয়ারের সামনে এগিয়ে গেলে টাওয়ারটির নিচে অপেক্ষামান কিলার বাবুর সহোযোগিরা দৌড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। স্থানীয় জনতা তখন এস,কে টাওয়ার চতুর্দিক ঘিরে রাখে এবং কিলার বাবুর কে গ্রেফতারের দাবীতে বিক্ষোভ করতে থাকে।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে এস,কে টাওয়ারের ভবনে থাকা গার্মেন্টসের ভিতরে পুলিশ প্রবেশ করতে চাইলে কতৃপক্ষ গেইট খুলতে অস্বীকার করে। পরে স্থানীয় জনতার বিক্ষোভের মুখে গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ প্রায় দেড়ঘন্টা পর গেইট খুলে দিলে পুলিশ ভিতরে প্রবেশ করে তল্লাশি চালায়। তবে কিলার বাবুকে তারা পায়নি।
কিলার বাবুকে না পেলেও তার সহোযোগি ফেলে যাওয়া বেশ কিছু দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। নাম প্রকাশ করার না শর্তে অভিযানে অংশ নেওয়া পুলিশের এক সদস্য জানায়, আমরা গার্মেন্টসের বিভিন্ন কক্ষে খুঁজেছি কিন্তু পাইনি।