ইমানদাররা কখনও পালিয়ে যায় না, তারা হাসিমুখে ফাঁসির মঞ্চে চলে যায়: ড.শফিকুল

স্বাধীন সংবাদ ডেস্ক :

 

ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ, বলেছেন, ইমানদাররা কখনও পালিয়ে যায় না। তারা হাসিমুখে ফাঁসির মঞ্চে চলে যায়। আমরা গত ১৮ বছরে ১৮ সেকেন্ডের জন্য পালিয়ে যাইনি।

শনিবার বিকেলে পটুয়াখালীর বাউফলে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে বিশাল ‘সম্প্রীতি সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার কনকদিয়া স্যার সলিমউল্লাহ স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

কনকদিয়া ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমির আবদুল করিম ফরিদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট নাজমুল আহসান, সেক্রেটারি অধ্যাপক এবিএম সাইফুল্লাহ, উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির যথাক্রমে- মাওলানা আবদুল গণি, মাওলানা ইছহাক, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম ও ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মুনতাসির মুজাহিদ প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, যারা ফ্যাসিবাদ, টাকা পাচারকারী, মানুষ হত্যাকারী। যারা এদেশে গুম ও খুনের রাজত্ব কায়েম করেছে, যারা চাঁদাবাজী, ফেরিঘাট, হাট বাজার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখল করেছে তারা এদেশ থেকে পালিয়ে গেছে। আমরা এদেশ থেকে পালিয়ে যাইনি। জামায়াত নেতৃবৃন্দ হাসিমুখে ফাঁসির মঞ্চে চলে গেছেন কিন্তু বিগত ১৮ বছরে ১৮ সেকেন্ডের জন্য পালিয়ে যাননি। ইমানদারগণ কখনো পালিয়ে যায় না।

এর আগে বাউফলের মদনপুরা ইউনিয়নে আয়োজিত এক কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, আমাদের প্রত্যেক কর্মীকে দুনিয়ায় কিছু পাওয়ার জন্য নয়। পরকালে নাজাতের জন্য এবং আল্লাহর সন্তষ্টির জন্য কাজ করতে হবে।

আওয়ামী লীগের দু:শাসনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা আমাদেরকে নিষিদ্ধ করেছে আর অন্তবর্তী সরকার তাদের নিষিদ্ধ করেছে। ওরা আমাদেরকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু যারা আদর্শের বলে বলীয়ান তাদেরকে কখনও শেষ করা যায় না। আগামীতে প্রত্যাশিত বাউফল গড়তে হলে দরকার কাঙ্খিত নেতৃত্ব। যারা বাউফলের নেতৃত্ব নিয়ে আমাদের ভোটের অধিকার ও ভাতের অধিকার কেড়ে নিয়ে দু:শাসন কায়েম করেছে বাউফলবাসী এরকম নেতৃত্ব আর দেখতে চায়না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *