কামরুল ইসলাম:
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার পুলিশ, ওসি মাসরুরুলের নির্দেশনায় দুটি পৃথক অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযানের পেছনে রয়েছে ছৈনুয়ারা (৩৭) নামের এক নারী বাদীর লিখিত এজাহার এবং রুজু করা মামলা।
ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী, ১২ অক্টোবর ২০২৫ খ্রিঃ সকাল ১০:২০ ঘটিকার সময়, বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি থানাধীন ০২নং বাইশারী ইউনিয়নের ০৭নং ওয়ার্ডস্থ বাইশারী বাজারের শাহ নুরুদ্দীন দাখিল মাদ্রাসার সামনে থেকে ভিকটিম মোছাঃ উম্মে সালমা (১১) কে রাসেল বড়ুয়া @ বচক্কা (২৫) প্রলুদ্ধ করে তাঁর চালিত ড্রাম্পার গাড়িতে তুলে নেন।
পরবর্তীতে, সকাল ১০:৫০ ঘটিকার সময়, ভিকটিমকে কক্সবাজার জেলার রামু থানাধীন ঈদগড় ইউপির ০৯নং ওয়ার্ডস্থ ব্যাঙ ডেবা জঙ্গলের ভিতরে নিয়ে গিয়ে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়।
বাদী ছৈনুয়ারা থানায় হাজির হয়ে বিবাদী রাসেল বড়ুয়া @ বচক্কা (২৫) এর বিরুদ্ধে লিখিত এজাহার দায়ের করেন। এ ভিত্তিতে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মামলা রুজু করা হয়।
মামলার বিস্তারিত তথ্য অনুযায়ী:
-
মামলা: বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি থানার এফআইআর নং-০৫, তারিখ-১২/১০/২০২৫ খ্রিঃ
-
জি আর নং: ১২৮, তারিখ- ১২/১০/২০২৫ খ্রিঃ
-
ধারা: ৭/৯(১) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩, ২০২০)
-
তদন্তভার: এসআই (নিরস্ত্র) সতেজ বড়ুয়া, বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, নাইক্ষ্যংছড়ি থানা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা
মামলা রুজু হওয়ার পর পুলিশ রাতের অন্ধকারে কৌশলগত অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করেন রাসেল বড়ুয়া @ বচক্কা (২৫)।
ভিকটিমের পরিবারের বক্তব্যে জানা যায়, “ছেলে-মেয়ের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যতের জন্য আমরা পুলিশের কার্যক্রমে সন্তুষ্ট এবং ধন্যবাদ জানাই।” পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, ঘটনার সমস্ত দিক থেকে তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
ওসি মাসরুরুল এর নির্দেশনা অনুযায়ী, জেলা পুলিশ সবসময় নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিমকে নিরাপদে রাখা হয়েছে এবং তার পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।