স্টাফ রিপোর্টার ঃ
কদমতলীর জনতাবাগ রুপসী বাংলা হাসপাতাল ও কনসোর্টিয়াম লিমিটেড এর কেয়ারটেকারকে মারধর করে গোডাউনের মালামাল লুটকরার অপচেষ্টা করেছে হাসপাতালের পরিচালক ও ম্যানেজার সোহেল হোসাইন। শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক পৌণে ১২ ঘটিকার সময় এ ঘটনা ঘটে।
এতে কেয়ারটেকার মোফাজ্জল (৫০), আলাউদ্দিন আরিফ (২৬), রাফি (২৫),সাজ্জাদুর রহমান (৩২),ইতি (২৯),বিউটি আক্তার (৫৪),এহসানুল হক (২৪),মেহেদী হাসান (২৪),জুবাউর আলম (২৬) ৯জন আহত হয়েছে। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় রুপসী বাংলা হাসপাতালের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে কদমতলী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, শনিরআখড়া রুপসী বাংলা হাসপাতালে ৩ জন পরিচালকের মধ্যে একজন সোহেল হোসাইন। তিনি ওই হাসপাতালের ম্যানেজারের দায়িত্বেও ছিলেন। তাদের কনসোর্টিয়াম লিমিটেড নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানের জনতাবাগ গোডাউনে মেডিকেল এন্ড সার্জিকেল মালামাল থাকে। সোহেল হাসপাতালের হিসেব দিতে না পারায় তাদের পরিচালকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মনোমানিল্য চলে আসছে।
এর মধ্যে সোহেল অন্য পরিচালক ও মালিকদের না জানিয়ে ২৪ নভেম্বর রোববার রুপসী বাংলা লিমিটেড এর কোম্পানীর গোডাউন থেকে দেড়কোটি টাকার মেডিকেল এন্ড সার্জিকেল মালামাল নিয়ে যায়। এ নিয়ে অপর ২ মালিকদের সাথে বাকবিতন্ডা চলে আসছে। সোহেল গোডাউন থেকে মালামাল নেয়ার পরও ওই দুই মালিককে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসেছেন। এ নিয়ে কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাছির উদ্দিন বাদী হয়ে ২৪ নভেম্বর কদমতলী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এরই মধ্যে সোহেল আবারো ৩০ নভেম্বর শনিবার দিবাগত রাত পৌণে ১২ ঘটিকার সময় ১৫/২০ ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে রড লাঠিসোঠা ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জনতাবাগ গোডাউনের তালা ও সিসি ক্যামেরা ভেঙে মালামাল পিকআপ ভর্তি করে। এসময় কেয়ারটেকার বাধা দিলে তাকে মারধর করে। খবর পেয়ে অন্য দুই পরিচালক ও তাদের লোকজন এসে বাধা দিলে তাদেরকেও মারধর করে আহত করে। এসময় সোহেল ও তার ভাগিনাসহ ৪/৫জন আহত হয়।
কদমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুর রহমান বলেন,তাদের মধ্যে ব্যবসায়িক বিরোধ চলে আসছে। উভয়পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়েব করেছে।