মোঃ ফেরদৌস হোসেন:
শিশুদের টাইফয়েডের মতো মারাত্মক রোগ থেকে সুরক্ষা দিতে সরকারের নেওয়া মহৎ উদ্যোগ—টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন—সফল করতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
বুধবার (৮ অক্টোবর) সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শহীদ এ.কে. শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে “টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫” উপলক্ষে আয়োজিত এক কনসালটেশন ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জেলা তথ্য অফিস আয়োজিত এই কর্মশালা শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশ-এর আর্থিক সহায়তায় অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালাটি তত্ত্বাবধান করে গণযোগাযোগ অধিদপ্তর। এতে জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
জেলা প্রশাসক বলেন,
“টাইফয়েড একটি প্রতিরোধযোগ্য রোগ। সরকারের এই টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে হলে সর্বস্তরের মানুষের সচেতনতা তৈরি করা জরুরি। সঠিক তথ্য প্রচারের মাধ্যমে মানুষের মাঝে বিদ্যমান দ্বিধা ও ভুল ধারণা দূর করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে সংবাদকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। সাংবাদিকদের লেখনী যখন অভিভাবকদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেবে যে এই টিকা নিরাপদ এবং শিশুদের জন্য অত্যন্ত জরুরি, তখন তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে টিকাদানে অংশ নেবেন।”
কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক গণপতি রায়, সিভিল সার্জন ডা. মো. নুরুল আমীন, জেলা তথ্য অফিসের উপপরিচালক মোহাম্মদ আলী এবং সিরাজগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি হারুন অর রশিদ খান হাসান।
অনুষ্ঠানে ক্যাম্পেইনের সময়সূচি, টিকার কার্যকারিতা, নিরাপত্তা এবং সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। পরে অনুষ্ঠিত মুক্ত আলোচনায় সাংবাদিকরা তাদের মতামত ও প্রশ্ন তুলে ধরেন এবং ক্যাম্পেইনটি সফল করতে সম্মিলিতভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, সিরাজগঞ্জ জেলায় আসন্ন টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনে ১৫টি স্থায়ী, ২১১২টি অস্থায়ী এবং ৩৪২৯টি স্কুল পর্যায়ের কেন্দ্রে মোট ৫৫৫৬টি টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে ১০,৪৯,৯৮৩ জনকে টাইফয়েড টিকা প্রদান করা হবে।