ডিজি এফ আই পরিচয়ে, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর চিহ্নিত প্রতারক সোহেল রানার প্রতারণায় নিষ্য অনেক পরিবার।

প্রতিবেদক- ব্যুরো চিফ মোহাম্মদ হোসেন হ্যাপী

# নারায়ণগঞ্জ জেলা ফতুল্লা মডেল থানা এলাকার কাশিপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড তথাকথিত যুবদল কর্মী পরিচয়ধারী ও নিজেকে ডিজি এফ আই পুলিশ পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে চিহ্নিত প্রতারক সোহেল রানা। কাশিপুর গেদ্দুর বাজার এলাকার নুরুল ইসলাম এর ছেলে একাধিক প্রতারণার মামলার আসামি কুখ্যাত ও চিহ্নিত প্রতারক সোহেল রানাকে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ প্রতারণা মামলায় সদর থানা পুলিশ গ্ৰেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে।

প্রতারক সোহেল রানা আদালত থেকে জামিন পেয়ে ফের নতুন প্রতারণার ফাঁদ পাতে। প্রতারক সোহেল ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর একজন মাঠ কর্মী হলেও নিজেকে বিভিন্ন যায়গায় পুলিশের ডিজি এফ আই ও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এই বাটপার সোহেল রানার বিরুদ্ধে আদালতে ও থানায় একাধিক প্রতারণা মামলা রয়েছে। তার মধ্যে বন্দর থানা মামলা নং ৩১(০৯)২০, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা মামলা নং ০৭/২১, ফতুল্লা থানা মামলা নং ৩১(০২)২৫ , সি আর মামলা নং ১৮৭/১৮ তা ছাড়া জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় রয়েছে একাধিক লিখিত অভিযোগ।

প্রতারক সোহেল রানা নিজেকে কখনো পুলিশ কখনো যুবদল কর্মী, কখনো সাংবাদিক, কখনো ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে অনৈতিক ও অবৈধ ভাবে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তবে এবিষয়ে সোহেল রানার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। প্রতারক সোহেল রানা গ্ৰেফতার হয়ে জামীনে আসলেও বহাল তবিয়তে রয়েছে প্রতারক সোহেলের সহযোগি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকার পাঠানটুলী আইল পাড়ার আরেক চিহ্নিত প্রতারক ও ধর্ষন মামলার সাজাপ্রাপ্ত সহ একাধিক মামলার আসামি প্রতারক আঃ মান্নান ভূঁইয়া।

প্রতারক আঃ মান্নান ভূঁইয়ার তথাকথিত সংগঠনের‌ মাধ্যমে ডিসি অফিস থেকে সরকারি অর্থ ও ত্রাণ আত্মসাৎ করেছে বলে ও ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জের বাসিন্দা ডঃ আঃ রাজ্জাক এই বাটপার আঃ মান্নান কে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে অর্ধ উলঙ্গ করে পিটিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। কারন হচ্ছে প্রতারক মান্নানের ছোট ভাই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক বিক্রেতা ইমতিয়াজ সহ বাটপার মান্নান তের বছরের মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে জনগণ গনধোলাই দিয়েছে। পরে পুলিশ এসে বাটপার মান্নান কে থানায় নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষন মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করে।

ধর্ষন মামলায় প্রতারক মান্নানের ১০ বছর সাজা প্রাপ্ত হলে বিজ্ঞ আদালত প্রতারক মান্নানকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। অতঃপর বিগত তিন বছর জেল খেটে এসে প্রতারক মান্নান নতুন করে প্রতারণা শুরু করে। মুলত বাটপার মান্নান হচ্ছে আওয়ামী লীগের দোষর। যখন যে দল ক্ষমতায় যায় তাদের আশির্বাদ নিয়ে প্রতারণা করে সাধারণ মানুষ কে সর্বশান্ত করে ফেলে। প্রতারক মান্নানের এলাকায় তার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করেছে স্থানীয় ভোক্তবোগীরা। দেলোয়ার হোসেন দেলু, শাহজাহান,সানমুন,ডিএস বাবুল,পলি আক্তার, মোবারক হোসেন, রূপালী আক্তার সহ প্রায় ১০/১০ জন ব্যক্তির সাথে প্রতারণা করেছে এই বাটপার মান্নান।বিজ্ঞ আদালতে ও থানায় প্রায় ৩২ টি মামলা চলমান রয়েছে প্রতারক মান্নানের বিরুদ্ধে। স্থানীয় লোকজন বলছে প্রতারক মান্নানকে যদি পূর্ণ রায় গ্ৰেফতার করা না হয় তাহলে জনগণের অপূরণীয় ক্ষতির কারণ ঘটবে। তাই জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেছে সাধারণ মানুষ এই প্রতারকদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্তা করা হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *