আলমাস হোসাইন :
রাজধানীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় লুট হওয়া ১৭৫ ভরি স্বর্ণের মধ্যে ২৩ ভরি সাভার থেকে উদ্ধার করেছে মিন্টু রোডের ওয়ারী জোনের গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মিন্টু রোডের ওয়ারী জোনের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ফজলুল করিম।
এর আগে শনিবার রাতে সাভারের নামাবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্থানীয় স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব সাহার দোকান থেকে স্বর্ণগুলো উদ্ধার করা হয়। এ সময় দোকান মালিক সঞ্জীব সাহা, তার কর্মচারী ইমন এবং মানিকগঞ্জের ঝিটকা এলাকার বাসিন্দা গণেশকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ভুক্তভোগী স্বর্ণ ব্যবসায়ী মনির জানান, গত ১৯ আগস্ট সকালে পাঁচজন কর্মচারী নিয়ে ১৭৫ ভরি স্বর্ণ প্রাইভেটকারযোগে উত্তরা থেকে তাতীবাজারে যাচ্ছিলেন। পথে তেজগাঁও এলাকায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে একটি প্রাইভেটকার ও একটি নোয়াহ মাইক্রোবাস তাদের গতিরোধ করে। পরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পুরো স্বর্ণ লুট করে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় মামলা হলে এ পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার এবং প্রায় ৪০ ভরি স্বর্ণসহ নগদ ১৫ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ডিবি পুলিশ জানায়, মামলাটি ওয়ারী জোন তদন্তভার নেয়ার পর একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রথমে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে সাভারের নামাবাজার থেকে গণেশকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ডাকাতদের কাছ থেকে সরাসরি স্বর্ণ ক্রয়ের কথা স্বীকার করেন।
গণেশের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পাশের দোকান ‘সঞ্জীব স্বর্ণালয়’-এ অভিযান চালিয়ে ২৩ ভরি ১২ আনা স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। এ সময় দোকান মালিক সঞ্জীব সাহা ও তার কর্মচারী ইমনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এএসপি ফজলুল করিম জানান, গণেশের কোনো বৈধ দোকান নেই। তিনি ডাকাতদের কাছ থেকে স্বর্ণ কিনে তা গলিয়ে ধাপে ধাপে সঞ্জীব সাহার কাছে বিক্রি করতেন। গণেশ ইতোমধ্যে ৭৫ ভরি স্বর্ণ বিক্রির কথাও স্বীকার করেছেন।