স্বাধীন সংবাদ ডেস্ক:
জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) সদস্য সচিব ও রংপুর-৪ আসনের এনসিপি মনোনীত জাতীয় এমপি প্রার্থী আখতার হোসেন বলেছেন, “এই আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের মুসলমানদের ওপর অত্যাচার করেছে। দাড়ি, টুপি রাখার কারণে জঙ্গি নয়—এমন মানুষকেও জেলের মধ্যে পচিয়ে মেরেছে। নতুন বাংলাদেশে ইসলামের ওপর কোনো ধরনের বিদ্বেষ আমরা সহ্য করব না। হিন্দু-মুসলমান পরস্পরের সম্প্রীতিতে আমরা বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তুলব।”
শনিবার (১১ অক্টোবর) রাতে রংপুরের পীরগাছা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন স্বাধীনতা চত্বরে তাকে দেওয়া এক গণসংবর্ধনায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী হিসেবে ঐতিহাসিক সফর শেষে দেশে ফেরায় স্থানীয় এনসিপি নেতাকর্মীরা এ সংবর্ধনার আয়োজন করে। পরে আখতার হোসেন পথসভায় যোগ দেন।
তিনি বলেন, “নতুন বাংলাদেশে যদি কেউ ক্ষমতায় গিয়ে স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে, বাংলাদেশের মানুষ তা আর মেনে নেবে না। এই নতুন বাংলাদেশে যেন ফ্যাসিবাদী কোনো কাঠামো না থাকে, রাষ্ট্র কাঠামোয় সংস্কার হয়—সেজন্য এনসিপি জোরালো ভূমিকা রেখেছে। অতীতে এ দেশে এক ব্যক্তির ইচ্ছাই ছিল শেষ কথা, কিন্তু এবার জনগণের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা ঐক্যমত্য কমিশনে সংস্কারের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছি।”
বর্তমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “জুলাই সনদে যা অর্জন হয়েছে, সেই অর্জন যেন কোনো শক্তি বা চাপের কারণে বাংলাদেশের জনগণ হারাতে না হয়।”
উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন প্রসঙ্গে আখতার হোসেন বলেন, “যখন কোনো বাজেট বা প্রকল্প হয়, তখন উত্তরবঙ্গকে বাদ দিয়েই তা পাস হয়ে যায়। উত্তরাঞ্চলের নেতারা তাদের ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে পারেননি। আমরা উত্তরাঞ্চলের ন্যায্য দাবির পক্ষে দৃঢ় অবস্থানে আছি।”
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী আলমগীর নয়ন, উপজেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুগ্ম সমন্বয়কারী শরীফ উদ্দিন, বাবুল আখতার, এবিএম মিজানুর রহমান সানা, ইশরাত শারমিন মনি ও প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক ফারদিন এহসান মাহিমসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী।
এর আগে উপজেলার নয় ইউনিয়ন থেকে শাপলা প্রতীকের ব্যানার হাতে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা স্বাধীনতা চত্বরে জড়ো হয়।