নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া মহিলা কলেজ সংলগ্ন “কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আড়ালে ম্যানেজার রবিনের কমিশন ফায়দা দালাল চক্রের জমজমাট বাণিজ্য

প্রতিবেদক- ব্যুরে চিফ মোহাম্মদ হোসেন হ্যাপী।

 

নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া মহিলা কলেজ সংলগ্ন
নারায়ণগঞ্জ সরকারি ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে একটি দালাল চক্র সক্রিয় রয়েছে। হাসপাতালের বিভিন্ন ডাক্তারদের সহযোগিতায় এই চক্র রোগীদের তাদের নিজস্ব ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠায়, যেখানে তারা মোটা অংকের ফায়দা কমিশন লাভ করেন। স্থানীয় ও রোগীদের সাথে আসা আত্মীয়-স্বজনদের সূত্রের দাবি, রোগীরা ডাক্তার দেখানোর পর যে টেস্টগুলো করানো হয়, তা অনেক সময় প্রয়োজনীয় নয়; মূল উদ্দেশ্য শুধুমাত্র ফায়দা কমিশন লাভ।

এই চক্রে মূলহোতা মোঃ রবিনের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। যদিও তিনি কেয়ার হাসপাতালে ম্যানেজারের দায়িত্বে আছেন, জেনারেল ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে তার কোনো পথ পদবী সেবামূলক কাজের আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব নেই। তথাপি, স্থানীয় ও রোগীদের সাথে আসা আত্মীয়স্বজনদের সূত্র বলছে, তিনি নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া মহিলা কলেজ সংলগ্ন কেয়ার হাসপাতাল ও বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মাধ্যমে রোগীদের প্রেরণের কার্যক্রমে প্রভাব বিস্তার করতে পারেন।

সূত্র জানিয়েছে, রোগীরা ডাক্তার দেখানোর পর ডাক্তারদের নির্দেশ অনুযায়ী যে টেস্টগুলো করানো হয়, তা প্রায়শই অপ্রয়োজনীয় রোগী আসা রোগের সাথে কোন সম্পর্ক নয় এমন টেস্ট শুধু ফায়দা বাণিজ্য শুধুমাত্র কমিশনের জন্য। সংশ্লিষ্ট ডাক্তাররাও এই এই ফায়দা কমিশন লেনদেনের অংশীদার। এভাবে একটি সুসংগঠিত চক্র রোগীদের উপর চাপ সৃষ্টি করে এবং চিকিৎসা প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করছে।

এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত এই দালাল চক্র সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে। এই সময়ে তারা রোগীদের বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠিয়ে কমিশন ফায়দা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই ধরনের কর্মকাণ্ডকে রোগীর স্বার্থের পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেছেন। তারা প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে রোগীরা নিরাপদ ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পেতে পারে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে এই চক্র দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়, এবং কেয়ার ম্যানেজার রবিনের দালাল চক্রের জমজমাট বাণিজ এবং সিভিল সার্জন মুশিউর রহমান এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনিও না জানার ভান করে কোন ব্যবস্থাই নেয় না অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে… যদি সঠিক তদন্ত সিভিল সার্জন মুশিউর রহমান না করেন তাহলে অচিরেই ভুক্তভোগীরা সিভিল সার্জন মুশিউর রহমান এর বিপক্ষে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করার সিদ্ধান্ত নিবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *