ভ্যাট কর্মকর্তার অপসারণে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম কুয়াকাটা হোটেল মালিকদের

পটুয়াখালী প্রতিনিধি: 

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে শনিবার (১১ অক্টোবর) বেলা ১১টায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মো. সাইদ হাসান লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ৮ অক্টোবর (বুধবার) বিকেল ৪টার দিকে সহকারী কমিশনার (ভ্যাট) এ. কে. এম. জামিউল আলম কুয়াকাটার হোটেল সৈকতের রিসেপশনে উপস্থিত হয়ে ভ্যাট সংক্রান্ত বিষয়ে হোটেলের ম্যানেজারের সঙ্গে অত্যন্ত অশোভন আচরণ করেন। ওই সময় হোটেলের মালিক উপস্থিত না থাকায় ম্যানেজার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও, এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ভ্যাট কর্মকর্তা সভাপতির সম্পর্কে অশালীন ও অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করেন। এ ঘটনার ভিডিওচিত্র সংগঠনের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।

বক্তারা বলেন, কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অনুমোদিত একটি সংগঠন। একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে সহকারী কমিশনার (ভ্যাট)-এর এ ধরণের অশালীন আচরণ সরকারি কর্মকর্তা পরিচয়ের মর্যাদাকে কলঙ্কিত করেছে।

সংগঠনটি এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দাবি জানায়— সহকারী কমিশনার (ভ্যাট) এ. কে. এম. জামিউল আলমকে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পটুয়াখালী থেকে প্রত্যাহার করতে হবে এবং তাঁর এই অসদ আচরণের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

অ্যাসোসিয়েশন নেতারা আরও বলেন, উক্ত দাবি ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বাস্তবায়ন না হলে কুয়াকাটা পর্যটন এলাকায় সকল ব্যবসায়ী সংগঠনকে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভ্যাট) এ. কে. এম. জামিউল আলম মোবাইলফোনে জানান, আমরা ভ্যাট জরিপে কুয়াকাটা গিয়েছিলাম, কোনো অসৌজন্যমূলক আচরণ করিনি। বরং হোটেল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ব্যর্থ হয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। অসদাচরণ ও মোবাইলফোন কেড়ে নেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, ঘটনাস্থলে রাজস্ব কর্মকর্তার উপস্থিতির বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *