গাংনী প্রতিনিধি:
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতরসহ অন্যান্য ছুটি মিলিয়ে দেশের সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৪০ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই নির্দেশনা মানছে না। সন্ধানী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সূর্যোদয় স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় এখনো শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রমজান মাসে শিক্ষার্থীদের ক্লাসমুক্ত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গাংনীর এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ম উপেক্ষা করে ক্লাস চালিয়ে যাচ্ছে। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
এক অভিভাবক বলেন, “রমজানে দীর্ঘ সময় রোজা রেখে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যেতে কষ্ট হচ্ছে। অথচ সরকার যখন ছুটি ঘোষণা করেছে, তখন এসব প্রতিষ্ঠান নিয়ম মানছে না।”
একজন শিক্ষার্থী জানান, “আমাদের বন্ধু-বান্ধবরা ছুটিতে থাকলেও আমাদের নিয়মিত স্কুলে যেতে হচ্ছে। এতে শারীরিক ও মানসিক চাপ বাড়ছে।”
কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা
সন্ধানী স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষক জানান, “আমরা পরীক্ষার প্রস্তুতির কথা বিবেচনা করে ক্লাস নিচ্ছি। তবে যদি প্রশাসনের কড়া নির্দেশ আসে, তাহলে হয়তো বন্ধ রাখা হবে।”
এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, “সরকারি আদেশ অমান্য করে কোনো প্রতিষ্ঠান চালু থাকলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।”
প্রশাসনের হুঁশিয়ারি
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, সরকারি নিয়মের বাইরে গিয়ে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে দ্রুত এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা।