আব্দুর রশিদ :
সাতক্ষীরা দেবহাটা উপজেলার বহেরা এটি এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অস্টম শ্রেনীর শিক্ষার্থী আফরোজাকে আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ উঠেছে পুষ্পকাটি গ্রামের আবু সাঈদ শান্ত ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে, সাতক্ষীরা দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের পুষ্পকাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আফরোজা খাতুন নামের ঐশিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। ওই ছাত্রীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ইভটিজিংয়ের শিকার শিক্ষার্থী নিহত আফরোজা খাতুন (১৫) সাতক্ষীরা দেবহাটা উপজেলার ৩ নং কুলিয়া ইউনিয়নের পুষ্পকাটি গ্রামের ফারিজুল ইসলামের মেয়ে ।
নিহতের মা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুষ্পকাটি এলাকার শাহজাহান সিরাজের চরিত্রহীন লম্পট ছেলে আবু সাঈদ শান্ত (২১) প্রতিনিয়ত আফরোজা খাতুনকে স্কুলে যাওয়ার পথে, রাস্তা ঘাটে ইভটিজিং ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো । তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে তাকে প্রকাশ্য তুলে নিয়ে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষন করব বলে হুমকি প্রদান করত, বিষয়টি আফরোজা তার পিতা মাতাকে অবহিত করেন, ঘটনাটি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দন্ডের সৃষ্টি হয়।
আবু সাঈদ শান্তর পরিবার প্রভাবশালী হওয়ার সুবাদে ২৫শে অক্টোবর শুক্রবার আনুমানিক সকাল ১০.৫৫ মিনিটের দিকে আবু সাঈদ শান্তর মা হাফিজা খাতুন (সুফিয়া) আফরোজাদের বাড়িতে এসে আফরোজা ও তার মাকে অকার্থ্য ভাষায় গালিগালাজ ও বিষ খেয়ে আত্বহত্যা করতে বলে। ছেলের অপরাধকে ধামাচাপা দিতে বাড়িতে এসে এমন অপমান সইতে না পেরে আফরোজা খাতুন তাৎক্ষণিক বিষ পান করে। পরে বাড়ির লোকজন তাকে মূহুর্ষ অবস্থায় সাতক্ষীরা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। সাতক্ষীরা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করার পর আই সিউ তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ নভেম্বর ২৪ শুক্রবার সন্ধ্যায় সে মৃত্যু বরন করে।
এ বিষয়ে দেবহাটা থানার এস আই শরিফুল ইসলাম জানান,আফরোজার পিতা ফারিজুল ইসলাম বাদী হয়ে তিন জনকে আসামী করে দেবহাটা থানায় একটা মামলা দায়ের করেছেন, মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন অবস্থায় আছে।