স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীর আদাবর থানার অন্তর্গত শ্যামলী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চলছে একাধিক অনৈতিক ও অসামাজিক কার্যকলাপ। অভিযোগ রয়েছে, “হোটেল হানিফ” নামের একটি আবাসিক হোটেল বহুদিন ধরেই নারী ও মাদক ব্যবসার আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি—রাতের অন্ধকারে এখানে চলে অনৈতিক কার্যকলাপ, আর দিনের আলোতেও এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হোটেলটির মালিক জামান ও ম্যানেজার আমিনুলের নেতৃত্বে চলছে এ অসামাজিক কার্যকলাপ। প্রতিনিয়ত অপরিচিত নারী-পুরুষের আনাগোনা, রুম ভাড়া নেওয়ার নামে অনৈতিক সম্পর্ক, এমনকি মাদক সেবন ও বেচাকেনার ঘটনাও নিয়মিত ঘটছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
আরও জানা গেছে, কিছু অসাধু প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় এই অবৈধ ব্যবসা চলছে নির্ভয়ে। আশপাশের দোকানদার ও ভুক্তভোগীরা বহুবার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোনো ফল পাননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানদার বলেন—“প্রতিদিন এখানে এমন কিছু হচ্ছে যা সবাই জানে, কিন্তু মুখ খুলতে ভয় পাই। পুলিশ আসে, যায়, কিন্তু সব কিছু আগের মতোই থাকে।”
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই হোটেল ঘিরে কিশোর অপরাধ, ছিনতাই ও মাদকাসক্তির প্রবণতা দিন দিন বেড়ে চলেছে। তারা প্রশ্ন তুলেছেন—“প্রশাসন কি দেখেও না দেখার ভান করছে?”
এ বিষয়ে আদাবর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সচেতন নাগরিক সমাজের মন্তব্য:
রাজধানীর মতো আবাসিক এলাকায় এমন অবৈধ কার্যকলাপ চলতে দেওয়া প্রশাসনের ব্যর্থতা ও আইন প্রয়োগে শৈথিল্যের জ্বলন্ত উদাহরণ। তারা দাবি জানিয়েছেন, দ্রুত “হোটেল হানিফ”-এর বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনা করে দায়ীদের আইনের আওতায় আনার।
এমন অসামাজিক কার্যকলাপ শুধু নৈতিক অবক্ষয়ই নয়, তরুণ প্রজন্মকেও বিপথে ঠেলে দিচ্ছে। এখনই প্রয়োজন প্রশাসনের দৃঢ় পদক্ষেপ—যাতে কেউই আইনকে উপহাস করার সাহস না পায়, আর রাজধানী ঢাকাকে কলঙ্কের হাত থেকে রক্ষা করা যায়।
এই হোটেলে তথ্য সংগ্রহকালে সাংবাদিকরা গেলে হোটেল কর্তৃপক্ষ বলেন—“ভাই, আমরা পুলিশ প্রশাসন এবং স্থানীয় নেতাকর্মীদের ম্যানেজ করে এই ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকি।” সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে, এখানে অসামাজিক কার্যকলাপ হয় কিনা জানতে চাইলে তারা উল্টো বলেন—“আপনি যা পারেন করেন, কী করবেন আমাদের জানা আছে। এখানে মাদকসহ যা করি, আমরা অপকর্ম করেই যাব। যদি পারেন ঠেকান দেখি, আপনাদের কত বড় সাহস!”
সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে হুমকি দেয়া হয়, যার মূল হোতা হিসেবে উঠে এসেছে মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপের নেতৃত্বে থাকা হোটেল ম্যানেজার আমিনুল।