তাছলিমা পপি;
আপনারা জানেন বিগত ১৬ বছর আমরা মাঠে ছিলাম। আমরা মাঠ থেকে সরে যাইনি যখন আমাদের আন্দোলনের ডাক আসতো কেন্দ্র থেকে বলেন জেলা থেকে বলেন উপজেলায় বলেন প্রতিটি প্রোগ্রাম আমরা সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। জনগণ আমার পাশে ছিল, এখনো আছে আমিও জনগণের পাশে আছি। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের যখন কোনো নির্দেশ আসে তা আমরা গঠনমূলকভাবে ছেলে দেশগুলো পালন করি। আপনারা জানেন স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার আমলে কেউ ভোট দিতে পারে নাই।এলাকায় থাকতে পারে নাই। জেল জুলুমের শিকার হয়েছে। আমার বাড়িতে হামলা হয়েছে গোলাগুলি হয়েছে। আমার বাড়ি প্রতিটি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তারপরও আমরা জনগণের পাশে ছিলাম। এবং থাকব জনগণের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে, এটা কর্মীদের নিয়ে আমি আমার যত প্রোগ্রাম ছিল তা সুষ্ঠুভাবে সফল করেছি। জনগণ আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়েছে।
এখন আমার অবস্থান স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে যারা অপরাধ করবে, বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী হাসিনার আমলে যেভাবে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি করেছে আমার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আড়াই হাজারের উপজেলার সন্ত্রাস চাঁদাবাজ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখে দাঁড়িয়েছি। কেউ কোন প্রকার অপরাধ করলে কোন ছাড় দেয়া হবে না। আমার এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনকে জানাতে চাই কোন অপরাধী যেন ছাড় না পায়। আমার মূল লক্ষ্য আড়াইহাজের উপজেলার বেকারত্ব দূর করা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা।। জনগণ আমাদের সাথে আছে। আমরা চাই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে।যার যার এলাকায় মানুষ যেন নির্দ্বিধায় থাকতে পারে তারা যেন কাজের পরে বাসায় নির্বিঘ্নে ফিরতে পারে আমি সেদিকেও জনগণের দিকে পুরোপুরি খেয়াল রাখছি এবং আইনের শাসন বাস্তবায়নের জন্য লড়াই করছি। স্বৈরাচারী হাসিনার আমলে আড়াইহাজার জেলায় আমি যেভাবে নির্যাতিত হয়েছি তা আমার থেকে বেশি কেউ হয়নি আমি অনেক মামলার আসামি এখনো আমি কোর্টে হাজিরা দেই। জনগণ আমার পাশে আছে। আমিও জনগণের পাশে আছি। আমি বিএনপি’র দল করি বিএনপি একটি সুসংগঠিত দল আমি আধিপত্য বলে কোন কিছু বিশ্বাস করি না। কারন আমরা মাঠে ১৬ বছর ছিলাম এখনো আছি। মাঠ থেকে পালিয়ে যায়নি। আমি আড়াই হাজার উপজেলার ইউনিয়ন ওয়ার্ডের দখলদার ও চাঁদাবাজদের গণপতিবাদ সমাবেশ চালিয়েছি উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশে আপনারা জানেন হাজার হাজার জনগণ অংশগ্রহণ করে আমার সাথে অন্যায়ের প্রতিবাদের মাধ্যমে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। কি কারণে আমি বলি আড়াই হাজরা জনগণ আমার মূল শক্তি। আড়াই হাজারে মাটিতে কোন সন্ত্রাস চাঁদাবাজ অনরাজ্যকারীর স্থান হবে না যদি কেউ প্রশাসনের ছায়ায় থেকে কোন অপরাধ করে তাদেরকেও ছাড় দেওয়া হবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি আড়াইহাজারে জনগণকে সাথে নিয়ে সন্ত্রাস চাঁদাবাজি অনরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিটি ওয়ার্ডে ইউনিয়নে জনসেবা করে যাচ্ছি জনগনই আমার মূল শক্তি। আমি এই বক্তব্য দিয়ে আবারো আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনকে জানিয়ে দিচ্ছি কেউ যেন অপরাধ করে পার না পায়। প্রশাসন যেন কোন অপরাধীকে ছাড় না দেয়।