নিজস্ব প্রতিবেদক:
ওএমএস (ওপেন মার্কেট সেল) ডি-৮ এলাকায় ভয়াবহ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ডিলার সরোয়ার ইকবাল এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ— ডিলাররা সরকারি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেশি দামে পণ্য বিক্রি করছেন, অথচ বিষয়টি দেখার কেউ নেই।
স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, প্রতিদিন ডিলার বারোটার দিকে বিক্রয়কেন্দ্রে আসেন এবং দুপুর দুইটার আগেই বিক্রি শেষ না করেই স্থান ত্যাগ করেন। এতে বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ ন্যায্যমূল্যে পণ্য পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
অভিযোগ উঠেছে, এই অনিয়মের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে এ আর ও হুমায়ুন কবির কিংবা তদন্ত কর্মকর্তা ফয়সাল কারো ফোনই রিসিভ করেন না। এমনকি তদন্ত কর্মকর্তা ফয়সাল নাকি সরেজমিনে তদন্তে এসেও ঘুষ নিয়ে চলে যান বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক ভুক্তভোগী।
তারা আরও বলেন, “ডিলার মাসুম খান প্রতিদিন সময়মতো আসেন না, বারোটায় আসেন আর দুইটার মধ্যে চলে যান। অথচ তদন্তকারী কর্মকর্তা কোনো পদক্ষেপ নেন না।”
ওএমএস কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ মানুষের কাছে ন্যায্যমূল্যে চাল, ডাল ও অন্যান্য নিত্যপণ্য পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে ডিলারদের এই ধরনের অনিয়ম ও প্রশাসনের উদাসীনতায় পুরো কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে।
সচেতন নাগরিক ও ভুক্তভোগীরা বিষয়টি নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা বলেন, “দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও ডিলারদের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিলে ওএমএস কার্যক্রম পুরোপুরি ভেঙে পড়বে।”