কচুয়ায় পৌর সচিবের সামনে সিডিউল ছিনতাই: প্রশাসনের উদাসীনতায় দোকান বরাদ্দে অনিয়ম

জেলা প্রতিনিধি, চাঁদপুর:

চাঁদপুরের কচুয়া পৌরসভায় দোকান বরাদ্দের টেন্ডার জমা দিতে গিয়ে ভুক্তভোগী মামুন অর রশিদের সঙ্গে হামলার ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ করা হচ্ছে, বিএনপি নামধারী জহিরুল ইসলাম ও আরিফের নেতৃত্বে ৮-১০ জনের একটি দল জোরপূর্বক তার দরপত্র (সিডিউল) ছিনিয়ে নিয়েছে। ঘটনার সময় সরাসরি উপস্থিত ছিলেন কচুয়া পৌর সচিব, কিন্তু প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

ভুক্তভোগী মামুন অর রশিদ জানান, কচুয়া পৌরসভা সুপার মার্কেটের দোকান বরাদ্দের জন্য পৌরসভা কর্তৃপক্ষ দরপত্র আহ্বান করেছিল। সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুর আনুমানিক ১টা ৩০ মিনিটে তিনি ৬ ও ৭ নং দোকানের দরপত্র জমা দিতে পৌরসভায় যান। সেই সময় বিএনপি নামধারী জহিরুল ইসলাম ও আরিফের নেতৃত্বে ৮-১০ জন তার কাছ থেকে জোরপূর্বক সিডিউল ছিনিয়ে নেয়।

ঘটনাটি কচুয়া পৌর প্রশাসককে জানালে, তিনি এ বিষয়ে ‘কিছু করার নেই’ বলে কচুয়া থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে  গিয়ে উল্টো অভিযোগকারী মামুনকে শাসিয়ে বলেন, “আপনার কাছ থেকে শিডিউল নিতে কেন দিলেন?”

পরে বিকেল সাড়ে ৩টায় পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহম্মদ হেলাল চৌধুরী পৌরসভায় এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কিন্তু অভিযোগের সমাধান না করে দরপত্রের বক্স খোলার পর পূর্বে জমাকৃত কম মূল্যের দরপত্রের ভিত্তিতে দোকান বরাদ্দ করা হয় ছিনতাইকৃত সিডিউলের বদলে।

ভুক্তভোগীরা প্রশাসককে অনুরোধ করেন, যেহেতু তাদের দরপত্র ছিনতাই হয়েছে, তাই সংশ্লিষ্ট দোকানটি স্থগিত রাখার ব্যবস্থা করা হোক। কিন্তু ৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকার দরপত্রের বদলে দোকানটি বরাদ্দ দেওয়া হয় ৫ লক্ষ ৫২ হাজার টাকার কম মূল্যের দরপত্রের ভিত্তিতে। চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন এই বিষয়ে জানান, “পৌর সভার বিষয়টি আমার জানার কথা নয়, তবুও আমি বিষয়টি দেখছি।”

এ বিষয়ে পৌর প্রশাসক   ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহম্মদ হেলাল চৌধুরী বলেন, বিষয়টি থানা পুলিশ দেখবে আমার কিছু করার নেই। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, প্রশাসনের এই উদাসীনতা ও পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ শুধু তাদের ক্ষতিগ্রস্ত করেছে না, বরং দুর্নীতিপ্রবণ পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছে। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *