মোঃ মাহবুবুর রহমান সোহেল :
গাজীপুরের কালিয়াকৈর মাদ্রাসাপাড়া এলাকায় এক প্রবাসীর স্ত্রীর জীবনে নেমে এসেছে এক বিভীষিকাময় রাত। স্বামী বিদেশে, একমাত্র ১১ বছরের মেয়েকে নিয়ে একাকী জীবনযাপন—এই নিঃসহায় নারী মৌসুমী আক্তার (২৭) আজ ভয় আর আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
অভিযোগ অনুযায়ী, স্থানীয় লম্পট প্রকৃতির ব্যক্তি মোহাম্মদ ফারুক হোসেন (৪০), পিতা মৃত আফাজ উদ্দিন, দীর্ঘদিন ধরে মৌসুমীকে নানা অশালীন প্রস্তাব ও হুমকি দিয়ে আসছিলেন। মৌসুমী তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ফারুক তাকে ভয় দেখাতে শুরু করেন—স্বামীকে সংসার করতে দেবেন না, প্রয়োজনে এলাকার বখাটেদের লেলিয়ে দেবেন বলে হুমকি দেন।
ভয়ংকর ঘটনাটি ঘটে গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে। নিজের ঘরে কাপড় গুছানোর সময় আচমকাই চুপিসারে প্রবেশ করে ফারুক। উদ্দেশ্য ছিল একটিই—তার পাশবিক কামনা চরিতার্থ করা। পেছন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে মৌসুমীর ওপর, শুরু হয় ধস্তাধস্তি।
আতঙ্কে মৌসুমীর মুখ থেকে বেরিয়ে আসে অসহায় চিৎকার—তার ঘুমন্ত মেয়ে সানিফা জেগে উঠে চিৎকার করলে ফারুক পালিয়ে যায়। যাওয়ার আগে হুমকি দিয়ে যায়—“এই ঘটনার ফল ভালো হবে না!”
এখন মৌসুমী দিনরাত ভয়ে কাটাচ্ছেন। ঘরের দরজা বন্ধ করেও নিরাপত্তা পান না, বাইরে বেরোলে মনে হয় কেউ অনুসরণ করছে। এলাকাবাসী ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে আলাপ করে অবশেষে থানার দ্বারস্থ হন তিনি।
চোখে জল নিয়ে মৌসুমী বলেন,
“আমি একজন প্রবাসীর স্ত্রী। আমার স্বামী বিদেশে কষ্ট করে সংসার চালায়। আমি শুধু শান্তিতে মেয়ে নিয়ে থাকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমার জীবনে শুধু ভয়… এই ভয় থেকে কবে মুক্তি পাব জানি না।”
এ বিষয়ে কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, অভিযোগটি হাতে পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মানবিক এই ঘটনায় এলাকাবাসীও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন।