কুতুবপুর ইউনিয়নকে সম্পূর্ণভাবে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভুক্ত করতে অচিরেই গণশুনানি

মোহাম্মদ হোসেন হ্যাপী, ব্যুরো চিফ: 

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, কুতুবপুর ইউনিয়নের পুরো এলাকা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অচিরেই গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তাসলিমা শিরিন।

রোববার দুপুরে ‘কুতুবপুর ইউনিয়নকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভুক্ত করণ বাস্তবায়ন কমিটি’ ইউএনও’র কাছে তাদের দাবী উপস্থাপন করেন। কমিটির নেতৃবৃন্দ জানান, স্থানীয় সরকার আইন, ২০০৯-এর ৩ নম্বর ধারার সকল যোগ্যতা কুতুবপুর ইউনিয়ন বহু বছর আগে থেকেই পূরণ করেছে।

কমিটির তথ্য অনুযায়ী, কুতুবপুর ইউনিয়নের আয়তন ৩৬৪৭ একর এবং বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা অকৃষি কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ৬৯৯৭ জন। এলাকার মধ্যে রয়েছে বৈদ্যুতিক পাওয়ার হাউস, নৌবাহিনী ঘাটি, সেনা ক্যাম্প, সরকারি ও বেসরকারি অফিস, পার্ক, আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়ামসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান।

শিক্ষা খাতে কুতুবপুর ইউনিয়নের শিক্ষার হার ৬৫ ভাগ (২০০১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী)। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৯টি, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৫টি, ডিগ্রি কলেজ ১টি, উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রি সমমানের মাদ্রাসা ২টি, সাধারণ মাদ্রাসা ১৮টি এবং কিন্ডারগার্টেন ৩৩টি। এছাড়া ইউনিয়নে ঐতিহাসিক পর্যটন স্থান ২টি, গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান ৪টি, রেলওয়ে স্টেশন ১টি এবং সিনেমা হল ২টি রয়েছে।

কমিটি জানায়, ০৬/১০/২০২৫ তারিখে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে কুতুবপুর ইউনিয়নের আংশিক ভ‚মি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব নিয়ে স্থানীয় জনগণের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তাই তারা পুরো ইউনিয়নকে সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।

কমিটির আহŸায়ক হাজী মোঃ শহীদুল্লাহ্, সিনিয়র যুগ্ম আহŸায়ক হাজী মোঃ নুরুল হক জমাদ্দার, সদস্য সচিব এস.এম কাদির, মোহাম্মদ আলী, সাইফ রেজা সুমন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমা শিরিন বলেন, “কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জনগণের মতামত সংগ্রহ ও গণশুনানীর আয়োজন করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গণশুনানীর রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে এবং সেখান থেকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *