কেন্দুয়া সিরাজুল হকের মৃত্যু রহস্যজনক আদালতে মামলা ভোগান্তিতে গ্রামবাসী

মোশাররফ হোসেন জসিম পাঠান :

নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলাধীন বলাই শিমুল ইউনিয়নের কামার গাঁও গ্রামের মৃত মিয়া বকস ছেলে মোঃ মিরাজুল হক এর মৃত্যু রহস্যজনক আদালতে মামলা গ্রামবাসী ভোগান্তিতে। ইতিমধ্যে সূত্রে জানা যায় গ্রামের ছেলেপেলে প্রতিনিত স্কুলের মাঠে ফুটবল খেলার জন্য যায়। খেলা শেষ করে গত ২৬/৯/২৪ ইং তারিখ প্রায় সন্ধ্যা ৬ টার দিকে সিরাজুল হক পায়খানা করতে বসে। ঠিক এই সময় ছেলেপেলে গং টিটকারি মারে।এর জের ধরে সিরাজুল হক ছেলেপেলেদের দৌড়াতে থাকে হঠাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ছেলেরা দ্রুত কাছে এসে ধরা ধরি করে বাড়িতে নিয়ে যায়। সিরাজুল এর জ্ঞান না থাকায় ।

থানা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনা স্থানে আসে। পরে মৃত লাশের সুরাতহাল রিপোর্ট তৈরি করে থানার নিয়ে যায় পুলিশ।পরে দিন পোস্ট ম্যাডাম করার জন্য মৃত ব্যক্তি লাশ নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করেন। সেখানে কার্যক্রম শেষ করে মৃতক এর লাশ বাড়ি নিয়ে এসে দাফন কাফন সম্পন্ন করে। এই ঘটনায় মৃতক এর ভাই মোঃ নজরুল ইসলাম ( ৬৬) বাদী হয়ে গত ১৯/১২/২৪ ইং তারিখ নেত্রকোনা বিজ্ঞ আমলী আদালত কেন্দুয়া, নেত্রকোনা। মামলা করেন। একই গ্রামের মৃত চাঁন মিয়া ছেলে আয়াতুল্লা (৪৮) সহ ১৭ জন নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৪/৫ নাম রয়েছে মামলার । পরে বিজ্ঞ বিচারক উক্ত মামলাটি তদন্তের জন্য কেন্দুয়া থানা কে দায়িত্ব প্রদান করে। এদিকে মৃতক সিরাজুল হক এর মেডিকেল সার্টিফিকেট হার্ট অ্যাটাক আসে।

পরে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের পক্ষে ফাইনাল রিপোর্ট দেয়। এই খবর মামলার বাদী শুনে মামলাটি নারাজি জন্য পুনরায় আবেদন করেন। এই নিয়ে পুরো গ্রাম ও এলাকা জুড়ে আলোচনা-সমালোচনা ঝড় উঠে। এই খবর শুনে ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীগণ তথ্য সংগ্রহ করতে সরজমিনে গেলে গ্রাম বাসি কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা সত্যতা স্বীকার করে বলেন বিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্ররা ফুটবল খেলতে যায়। পোলাপান গুলোর সম্পর্কে দাদা হয় সিরাজুল হক ঠাট্টা করতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক করে। তাছাড়া মামলাতে যে ১ নং আসামি সে বাড়িতে ছিল না। পরে এই ঘটনা শুনে বাড়িটিতে আসছে। এরপরও তাকে ১ নং আসামি দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জেলা পুলিশ সুপার সহ মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সু-দৃষ্টি কামনা করছে গ্রামের সাধারণ জনগণ। গ্রামবাসী যারা তারা হলেনঃ মোঃ আসাদুল মিয়া, মোঃ লক্ষ মিয়া, মোঃ ইছব আলী, মোঃ সোহেল মিয়া, মোঃ দিল কুল মিয়া, মোঃ ফজলু মিয়া, মোঃ শাজাহান মিয়া, মোঃ বাবুল মিয়া, মোঃ মোস্তফা, মোঃ হুমায়ুন মিয়া, মোঃ সাজ্জাদুল মিয়া, হায়দার মিয়া, নুর আলম, মোঃ নুরুল হক, মোঃ বাচ্চু মিয়া, মোঃ সিরাজ মিয়া, মোঃ শহীদ মিয়া, মোঃ খুকন মিয়া, মোঃ সবুজ মিয়া, মোঃ লিটন মিয়া, আশাব উদ্দিন, মোঃ নন্দন মিয়া সহ আরো অনেকেই প্রমুখ। প্রকাশ থাকে, যে সকল ছাত্ররা ফুটবল খেলতে গিয়েছিল এরমধ্যে এক জনকে আসামি করে নাই মামলার বাদি? যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা আশঙ্কা…চলবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *